Abhishek Banerjee : ‘নানা চক্রান্ত হতে পারে…’, কী সতর্কবাণী? অভিষেক দলকে 2014 সালের এক্সিট পোল মনে করিয়ে দিয়েছেন
Abhishek Banerjee : ‘নানা চক্রান্ত হতে পারে…’, কী সতর্কবাণী? অভিষেক দলকে 2014 সালের এক্সিট পোল মনে করিয়ে দিয়েছেন
Abhishek Banerjee : অভিষেক নিজেই মিটিংয়ে একের পর এক গণনার দিনের জন্য দলীয় কৌশল ঠিক করেছিলেন। গণনার বিশেষ দিনে কে, কোথায়, কীভাবে গোটা গণনা কার্যক্রম মনিটরিং করবেন, একের পর এক নির্দেশনা দিয়েছেন দলটি। তৃণমূল সূত্রে খবর, চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষকে শিবিরে রাখার ব্যবস্থা করছে দল। তাদের জন্য দারুণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা। আর সেই দিনটিকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যেই চূড়ান্ত তৎপরতা শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে রবিবার জরুরি বৈঠক করেছেন। দলকে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তিনি। বুথফেরাট সমীক্ষা নিয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেক বলেন, এক্সিট পোলকে গুরুত্ব দেবেন না। এই ফলাফল 2014 এর মত হবে।”
রবিবার বিকেল ৫টায় গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে গণনার দিন কোন কেন্দ্রের দায়িত্বে কে থাকবেন তাও চূড়ান্ত করেন অভিষেক। বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতা ও নীতিনির্ধারকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে একের পর এক অভিষেক নিজেই গণনা দিবসের দলীয় কৌশল ঠিক করেন। গণনার বিশেষ দিনে কে, কোথায়, কীভাবে গোটা গণনা কার্যক্রম মনিটরিং করবেন, একের পর এক নির্দেশনা দিয়েছেন দলটি। তৃণমূল সূত্রে খবর, চার থেকে পাঁচ হাজার মানুষকে শিবিরে রাখার ব্যবস্থা করছে দল। তাদের জন্য দারুণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেকের পরামর্শ, “গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ যেন বাইরে না আসে।” প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে 17C এবং VVPAT মেলাতে হবে। বিরোধী দল হয়তো আগে এগিয়ে গেছে, তার মানে বেরোবে না।
যারা একাধিক কেন্দ্রে বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছেন-
1) ঘাটাল – মানস ভুইয়া এবং অজিত মাইতি
2) মেদিনীপুর – জয়প্রকাশ মজুমদার
3) আরামবাগ – শান্তনু সেন
4) হুগলি – ইন্দ্রনীল সেন
5) তমলুক – রাজীব ব্যানার্জি
6) কাঁথি – উত্তম বারিক
7) কোচবিহার – অভিজিৎ দে ভৌমিক এবং উদয়ন গুহ
8) আলিপুরদুয়ার – গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা
9) জলপাইগুড়ি – মহুয়া গোপ এবং চন্দন ভৌমিক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের তরফে পর্যবেক্ষক ও এজেন্টদের গণনার জন্য আরও বেশ কিছু নির্দেশ জারি করেছেন। অভিষেক বলেন, “গণনা পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে। তাদের সোমবার পৌঁছাতে হবে। কাউন্টিং এজেন্টদের কলকাতায় ডেকে রিসিভ করা হবে। একটি টেবিলের মূল গণনায় পিছিয়ে থাকতে পারে। মন হারাবেন না। শেষ ইভিএম গণনা না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়বেন না। যেখানে ঘনিষ্ঠ লড়াই হয় সেখানে অতিরিক্ত মনোযোগ দিন।
বিভিন্ন ষড়যন্ত্র হতে পারে, কিন্তু কোনো প্ররোচনা নেই।”