Abhishek VS Adhir :’কংগ্রেস নেতৃত্বের কথাও শোনেন না, অধীর আসলে বিজেপির এজেন্ট’, বহরমপুরে দাঁড়িয়ে অভিষেককে আক্রমণ
Abhishek VS Adhir :’কংগ্রেস নেতৃত্বের কথাও শোনেন না, অধীর আসলে বিজেপির এজেন্ট’, বহরমপুরে দাঁড়িয়ে অভিষেককে আক্রমণ
Lok Sabha Elections 24: চতুর্থ দফার ভোট হচ্ছে অধীর গড় নামে পরিচিত বহরমপুরে।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, বেহরামপুর: বেহরামপুরে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের সমর্থনে প্রচার করতে গিয়ে রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে নিশানা করলেন অভিষেক ব্যানার্জি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে অধীর বহরমপুরে তৃতীয় হবেন। অভিষেকের কটাক্ষের জবাব দেন অধীর। (অধীরের উপর অভিষেক)
মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদে ভোট হয়েছে। চতুর্থ দফার ভোট হচ্ছে অধীর গড় নামে পরিচিত বহরমপুরে। এখনও পর্যন্ত জোরাফুল শিবির অধীরের দুর্গ ভাঙতে পারেনি। এখন তারা মরিয়া। অধীরের রাজনৈতিক সাম্রাজ্যকে ধ্বংস করতে গুজরাটের বরোদা থেকে ইউসুফ পাঠানকে নিয়ে আসেন তৃণমূল নেতা। অভিষেক বুধবার (লোকসভা নির্বাচন 2024) ইউসুফের সাথে প্রচার করেছিলেন।
প্রচারে অভিষেককে বলতে শোনা যায়, “যেখানে রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধীকে ইডি তলব করেছে, সেখানে বিজেপির এজেন্ট অধীর চৌধুরীকে সারদায় নাম থাকলেও বিজেপির তরফে তলব করা হয়নি৷ আমাকে বলুন, আপনি কি এই ভদ্রলোক এজেন্টকে স্বীকার করেন, হ্যাঁ বা না৷ ?”
অভিষেক আরও বলেন, “যে ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আক্রমণ করেছেন, ক্রমাগত তৃণমূলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন, আমি কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে প্রতিটি তথ্য পাঠিয়েছি। আমি নাম বলব না। কংগ্রেস নেতৃত্ব আমাকে বলেছে, ‘আমার কাছে আছে। তাকে এক সাথে যুদ্ধ করার জন্যও সতর্ক করে দিয়েছিল। কিছু দুর্বলতা নিশ্চয়ই আছে সেই দুর্বলতা কি?”
অভিষেক আরও দাবি করেছেন যে অধীর এই লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরে তৃতীয় হবেন। তাঁর দাবি, বহরমপুরে নির্মলকে মনোনয়ন দিয়েছে বিজেপি। আর অধীর পদ্মা শিবিরের ডামি প্রার্থী। অভিষেকের দাবি, অধীর নিজেই নির্মলকে ভোট দেবেন। তাঁর বক্তব্য, “আমি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম, অধীরবাবু 2 বহরমপুরে তৃতীয় হবেন।”
সম্প্রতি একটি প্রচারে অধীরকে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল যে তৃণমূলের চেয়ে বিজেপিকে ভোট দেওয়া ভাল। জোরাফুল শিবির আগেও একাধিকবার অধীরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হলেও বাংলায় তৃণমূলের একা যাওয়ার নীতি অধৈর্যের কারণে বলে জানা গেছে। লোকসভা নির্বাচনের আগেও তরজা জারি হয়েছিল। তৃণমূল ও প্রদেশ কংগ্রেস প্রতিনিয়ত একে অপরকে আক্রমণ করছে।