Bangla jyotish shastra: জ্যোতিষ মতে মেষ রাশির পুরুষদের সাথে ১২ টি রাশির নারীর সম্পর্ক কেমন?
Bangla jyotish shastra: জ্যোতিষ আপনার ভবিষ্যতের ভবিষ্যদ্বাণী করার একটি সহজ উপায়। কে তাদের ভবিষ্যত জানতে চাইবে না? জ্যোতিষশাস্ত্র পড়ে আপনি আগামী দিনের সমস্ত ঘটনা জানতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী অতীতের জন্য প্রস্তুত করতে পারেন। ভারতীয় জ্যোতিষ অনুসারে, 12 টি রাশির চিহ্ন রয়েছে, যথা, মেডাম, মিথুন, মিথুনাম, করকিডাকা, চিংগাম, কুমারী, तुला, বৃষিকা, ধনু, মকর, কুম্ভ এবং মীন রাশি।তেমনি অশ্বতী, ভারতী, কার্তিকা, রোহিনী, মকায়িরাম, তিরুवाথির, পুনার্থ্নম, পৈয়ম, আইল্যাঁ, মাকাম, পুরাম, উত্তর, চিঠিরা, চটি, বিশাখম, অনিশম, থ্রিকেতা, মুলাক্কাম, পূজা, উথারথাম, এটাম চটম রয়েছে পুরোরতথী, উথ্রাট্টি এবং রেভাতি তারকারা। শব্দটি রাশিফল, যার অর্থ সময় এবং পর্যবেক্ষক, এছাড়াও সূর্য, চাঁদ এবং অন্যান্য গ্রহ দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং আপনার ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দেওয়ার একটি সহজ উপায়।এটি কেবল আপনাকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করে না, তবে এটি কর্মসংস্থান, প্রেম, বিবাহ এবং সম্পর্কের কথাও বলে।
নক্ষত্র এবং তারাগুলির উপর ভিত্তি করে, আমরা এই মহাবিশ্বের সমস্ত জীবের ভাগ্যের পূর্বাভাস দিতে পারি। তবে এটি সঠিক হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার জন্ম, স্থান, নক্ষত্র এবং তারাটির সঠিক তারিখটি জানতে হবে।হিন্দু জ্যোতিষ শাস্ত্র একটি বিশ্ব বিখ্যাত জ্যোতিষ পদ্ধতি। ভারতে জ্যোতিষশাস্ত্র অধ্যয়ন ছাড়া প্রতিটি কাজই অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। হিন্দু ধর্মে, জন্ম থেকে বিবাহ, ঘরে প্রবেশ সহ অনেক শুভ কাজগুলিতে জ্যোতিষশাস্ত্র অধ্যয়নের প্রয়োজন। হিন্দু বৈদিক জ্যোতিষ অনুসারে প্রতিটি কাজ চালু করার একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। যদি কোনও কাজ সঠিক সময়ে করা হয় তবে গ্রহ এবং নক্ষত্রের প্রভাব ভাল ফল দেয়। বৈদিক জ্যোতিষ সম্পর্কিত অনেক দরকারী উপকরণ যেমন জন্মের চার্ট, বিবাহের রাশিফল, মুহুর্ত এবং পঞ্জিকা ইত্যাদি অ্যাস্ট্রোসেজে উপলব্ধি রয়েছে। নীচে দেওয়া হিন্দি রাশিফল বিকল্পে জন্ম তারিখে প্রবেশ করে আপনি নিজের সম্পূর্ণ রাশিফল পেতে পারেন। রাশিফলের সাহায্যে আপনি বিভিন্ন ঘটনা এবং ভাগ্য-যা আপনার জীবদ্দশায় ঘটে সেগুলি সম্পর্কে শিখতে পারেন। রাশিফল চার্টে আপনি গ্রহগুলির অবস্থান এবং তার প্রভাবগুলি থেকে সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে তথ্য পাবেন।
মেষরাশির পুরুষ ও মেষরাশির মহিলা:
মেষের বৈশিষ্ট্য শৌষ্য-বীর্য এবং ব্যক্তিত্বপ্রধান। পরস্পর স্নেহ-মমতার বন্ধনে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকতে তারা উভয়েই আগ্রহী। মেষপুরুষ সাহসী, দৃঢ়চেতা, অনুরূপভাবে মেষ নারীরাও এই জাতির পুরুষদের যথেষ্ট পছন্দ করেন। অল্পসময়ের মধ্যে এদের মধ্যে নিবিড় বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে পারে। দু’জন দু’জনের স্বাধীন চেতনা ও ধ্যান-ধারণা বাদ না দিয়েও সুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী। মেষ-মহিলা ঘরকুনো হবে এমন ধারণা সঠিক নয়। এতে ভয়ের কিছু নেই। কারণ, মেষ-পুরুষ সুন্দরের পূজারী আর মেষ-মহিলা শিশু-বৎসল। মেষ-মহিলা আবার কিছু কিছু বিষয় খুবই অপছন্দ করেন। যেমন, কখনও সে কোন বিউটি পার্লারে যেতে পছন্দ করবে না। তার নিজের সৌন্দর্য্যচর্চায় অন্য কেউ পরামর্শ দেবে বা হস্তক্ষেপ করবে এটা তার পছন্দ নয়। দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া এবং নিশ্চল হয়ে ফটোগ্রাফারের ক্যামেরার সামনে নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকা মেষ-পুরুষেরা দারুণভাবে অপছন্দ করেন। এই সব কিছু ছোটখাট মজার ব্যাপার নিয়ে দু’জনেই চমৎকার মানুষ। তবে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় কেউ যদি একই সাথে অন্য পুরুষ বা মহিলার সাথে ছোটখাট রসের আলাপ করতে চায় তবে কিন্তু অন্যজন ক্রোধে ফেটে পড়বে। এদের কারোরই উচিত হবে না অন্যের আত্মসম্মান ক্ষুণ্ণ হওয়ার মত কিছু করা।
মেষরাশির পুরুষ ও বৃষরাশির মহিলা:
এ জুটিতে আদর্শগত অনেক অমিল রয়েছে। অবশ্য মেষ-নারী বৃষ-পুরুষ জুটির চেয়ে এদের সুখী হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। মেষ-পুরুষের বাইরের প্রতি টান পছন্দ হবে না বৃষ-মহিলার। সে চাইবে তার প্রিয়জনকে কাছে ধরে রাখতে। মেষ-পুরুষের আবার তা পছন্দ নয়। বৃষ-মহিলা একগুঁয়ে নয়। সুতরাং এড়িয়ে না গিয়ে মেষ-পুরুষ যদি একটু নমনীয় হয়, ভাগাভাগি করে নেয় নিজেদের সব কিছু, তবে দেখা যাবে বৃষ-মহিলা সঙ্গী হিসাবে বেশ আকর্ষণীয়া। স্মরণ রাখতে হবে, বৃষ-মহিলা চায় নিরাপত্তা ও সঙ্গ। এরা অনেক বেশি বৈষয়িক, স্বনির্ভর এবং কখনও এদের নৈরাশ্যবাদীও মনে হতে পারে। আসলে তেমন নয় তারা। কাজেই মেষ-পুরুষের ধৈর্য্যের সাথে তাকে কাছে টানতে পারলে তার মায়াবী রহস্য ভরপুর করে রাখবে মেষ-পুরুষের জীবন। মেষ-পুরুষ নিজেকে নিয়ে মগ্ন থাকতে পছন্দ করে। তবে সেজন্যে সে যে সঙ্গীকে একদম ভুলে যাবে তা-ও নয়। বৃষ-মহিলা এক্ষেত্রে নিজেকে তার সামনে তুলে ধরতে পারলে খুবই ভাল হয়।
মেষরাশির পুরুষ ও মিথুনরাশির মহিলা:
মেষ-পুরুষ অহঙ্কারী, অন্যদিকে মিথুন-মহিলা বেশি আবেগপ্রবণ। কাজেই দু’জনার সতর্ক হতে হবে জুটিবাঁধার ক্ষেত্রে। মিথুন-মহিলার অনেক ভক্ত থাকলেও মেষ পুরুষের তা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই। প্রয়োজনে মিথুন- মহিলা সুস্থবুদ্ধি ও পরামর্শ প্রদানের ক্ষেত্রে খুবই অনন্য। মেষ-পুরুষ প্রাণচঞ্চল, সাহসী, বন্ধুভাবাপন্ন, উৎসাহী ও মুক্তমনা। মিথুন-মহিলা আকর্ষণীয়া ও কমনীয়া। এদের দু’জনের’ স্বস্ত্র স্বভাবের অধিকারী থেকেও আজীবন হবেন আদর্শ জুটি। এসব সত্ত্বেও দু’জনের সম্পর্কহঠাৎ করে শীতল হয়ে যেতে পারে। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। এ অবস্থা সাময়িক। মেষ পুরুষকে মিথুন মহিলা হয়তো অর্থহীন সন্দেহ করে বসতে পারে। অবশ্য প্রচুর ভালবাসার ছোঁয়ায় ওসব দূর হয়ে যায়। মিথুন-মহিলার কল্পনা-প্রিয়তা কিছুটা হ্রাস করা প্রয়োজন হবে এইজন্যে যে, স্পষ্টভাষী, সৎ মেষ পুরুষ ওসব নিয়ে ভুল বুঝবে না তেমন। কারণ সে সরাসরি এগোতেই পছন্দ করে।
মেষরাশির পুরুষ ও কর্কটরাশির মহিলা:
মেষ-পুরুষের কাছে একটি কর্কট-মহিলা আপাততঃ আকর্ষণীয় ও অসহায় মনে হতে পারে। সে হয়তো তাকে আপন করার জন্য এগিয়ে যেতে পারে। তবে এরা পরস্পরের আদর্শ জুটি হওয়ার কম সম্ভাবনা রয়েছে। কর্কট- মহিলা ঘর-কেন্দ্রিক ও গোছান। এরা সহজেই আঘাত পেতে পারে। এদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেষ-পুরুষের কিছু করা উচিত হবে না। বরং ধৈর্য্য ধরে এদের সাথে মানিয়ে চলার চেষ্টা করা উচিত। কর্কট-মহিলার নিরাপত্তাহীনতা অনেক সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে, কারণ এ নিরাপত্তাহীনতার ফলে তার মেজাজ একঘেয়ে ও খিটখিটে হয়ে যেতে পারে। ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি হওয়ার দরুণ এরূপ হতে পারে। কর্কট-মহিলা তার সঙ্গীকে কাছে টানতে চাইবে, অন্যদিকে মেষ-পুরুষের প্রয়োজন মুক্ত বাঁধনহারা জীবনধারা। মেষ-পুরুষকে নিজেকেই আগ্রহী হয়ে কর্কট-মহিলার নিরাপত্তাহীনতা সান্ত্বনা ও আশ্বাসের মাধ্যমে দূর করতে হবে।
মেষরাশির পুরুষ ও সিংহরাশির মহিলা:
এদের উভয়ের মধ্যে স্বাতন্ত্র্যবোধ প্রবল। সিংহ-মহিলা নিজ মান-সম্মান সম্বন্ধে খুবই সচেতন। কাজেই মেষ-পুরুষকে এ বিষয়ে সজাগ হতে হবে। সিংহ-মহিলা তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বীকে সহ্য করে না, একথা মেষ-পুরুষকে মনে রাখতে হবে। সিংহ-মহিলা খুবই সহমর্মী, তবে প্রতিদান হিসেবে সে চায় আপনজনের ভালবাসা ও প্রীতি। সিংহ-মহিলার চাওয়া-পাওয়ার প্রতি মনোযোগী হলে তার হৃদয়ে সহজেই স্থান করে নিতে পারে মেষের পুরুষ।
মেষরাশির পুরুষ ও কন্যারাশির মহিলা:
কন্যা-মহিলা সাধারণতঃ অন্তর্মুখী। এদের মনের ভাব সহজে বোঝা যায় না। ধীরে ধীরে আপনাকে নিকটতর করতে চাইবে। যদি সে বুঝতে পারে যে আপনিই তার হৃদয়ের রাজা, তাহলে সে হবে আপনার আদর্শ স্ত্রী, এদের ছোটখাট ত্রুটি উপেক্ষা করা প্রয়োজন। এরা সামান্য বিষয়ও বড় করে দেখে। আপনি অর্থ ব্যয়ে বেহিসাবী হলে কন্যা-মহিলা আপনাকে অপছন্দ করতে পারে। খানিকটা খুঁতখুঁতে কন্যা- মহিলা। ভাতে চুল থাকলে তার খাওয়ার বিঘ্ন ঘটবে। পরবর্তী দু’একদিন বিনা কারণে সে খাবারে অরুচি প্রকাশ করবে। এগুলো নিয়ে মেষের পুরুষ বিরক্তি প্রকাশ করলে কন্যা-মহিলা ব্যথিত হতে পারে। কন্যা-মহিলারা সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত, তবে কিছুটা চাপা স্বভাবের। খোলা মনের অধিকারী মেষের পুরুষের প্রতি কন্যা-মহিলা নিজের অনুভূতি প্রকাশে ব্যর্থ হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মেষরাশির পুরুষ ও তুলারাশির মহিলা:
তুলা-মহিলারা বুদ্ধিমতী ও আকর্ষণীয়া। এদের ব্যবহার অমায়িক। এরা মেষের পুরুষের আদর্শ মহিলা। গৃহকর্ত্রী হিসেবে তুলা-মহিলা অনন্যা। এরা সন্তান-বৎসল ও স্বামীর প্রতিটি বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখে। তবে একে অন্যের ওপর আধিপত্য বিস্তার করা ঠিক হবে না। মেষ-পুরুষ কিছুটা ধৈর্যহীন। জুটির সম্পর্কের বেলায়আপোসমূলক হওয়া বাঞ্ছনীয়। মেঘের ছেলেমানুষী পরিহার করে তুলা-মহিলার মন জয়ের জনা ধীর প্রচেষ্টা প্রয়োজন হবে। এর ফলে তুলা মহিলার মনের সাড়া মিলবে। মা হিসেবে এরা হবে দায়িত্ববর্তী। তুলা মহিলা কোন চ্যালেঞ্জের অপেক্ষা করে না। মেয়ের এ বিষয়টির দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন। ধীরে সুস্থে এদের মন জয় করতে হবে।
মেষরাশির পুরুষ ও বৃশ্চিকরাশির মহিলা:
বৃশ্চিক মহিলার আচরণ কিছুটা সঙ্গতিহীন। ক্ষণে ক্ষণে এদের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এদের ছোটখাট ব্যাপারে নাক গলানো ঠিক নয়। এরা ভদ্রভাবে বিষও ছড়াতে পারে। কাজেই মেষ-পুরুষের বৃশ্চিক-মহিলার এসব দিক সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে। বৃশ্চিক-মহিলার উজ্জ্বল দিকও রয়েছে। এরা খুবই ঘরোয়া, ঘরের প্রতি এদের আকর্ষণ সর্বাধিক। এদের লক্ষ্য স্থির। মেষের পুরুষ তেজস্বী ও প্রাণবন্ত। যে কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে তার বাধা নেই। তবে পরিস্থিতি সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে বৃশ্চিক মহিলা তাকে যথার্থ সমর্থন দেবে। প্রয়োজনে যে কোন বিষয়ে গোপনীয়তা অবলম্বন করতে পারে বৃশ্চিক-মহিলা। ফলে জুটির মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। প্রেম ও ভালবাসায় দু’জনেই আন্তরিক।
মেষরাশির পুরুষ ও ধনুরাশির মহিলা:
উভয়ের জুটি খুবই চমৎকার। এদের পরস্পরের মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত মিল লক্ষ্য করা যায়। উচ্ছল, প্রাণবন্ত ও সাহসী মেষের প্রতি ধনু-মহিলার আকর্ষণ রয়েছে। মেষ-পুরুষের কিছুটা কর্তৃত্বও ধনু মহিলা মেনে নিতে পারে। এ জুটির পরস্পরের বাষ্পটুতায় নিজেদের মধ্যে খানিকটা ভুল বোঝাবুঝির কারণ হতে পারে। তবে এটা একটা সাময়িক ব্যাপার। অচিরেই নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে। ধনু-মহিলা আদর্শবাদী। এদের আদর্শবাদে হস্তক্ষেপ করাকে এরা সহ্য করে না। কাজেই মেষ-পুরুষকে ধনু-মহিলার আদর্শকে মর্যাদা দিতে হবে। ধনু-মহিলা অতিরিক্ত সন্তান-বৎসল যার জন্য সন্তান উচ্ছন্নে যেতে পারে। এ জুটি নিজেদের সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি সহজভাবে মেনে নিলে দু’জনই সুখী হতে পারে।
মেষরাশির পুরুষ ও মকররাশির মহিলা:
মকর-মহিলা অনেক কিছু বিচার বিবেচনা করে কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। সঙ্গী নির্বাচনের বেলায় খুব বুঝেসুঝে এরা এগোয়। নিরাপত্তার গ্যারান্টি না থাকলে সে পথ মাড়াবে না মকর-মহিলা। তবে সাধারণতঃ মেষ- পুরুষের সাথে মকর-মহিলার জুটি ভাল। ব্যবহারে সামান্য ত্রুটি মকর-মহিলার অপছন্দ, এতে তারা নিজেদের অপমানিত মনে করে। এসব দিকে মেষ-পুরুষের সতর্ক থাকতে হবে। গৃহের দৈনন্দিন কাজে এরা সুনিপুণ। মেষ-পুরুষ গৃহের দায়িত্ব তার ওপর নির্বিঘ্নে ছেড়ে দিতে পারে। মকর-মহিলা উচ্চাভিলাষী। মেষ-পুরুষ এর বিরোধিতা করলে সংসারে শান্তি ক্ষুণ্ণ হতে পারে। এরা স্বামীর অর্থ গৃহে হিসেব করে খরচ করে। কাজেই মেষ-পুরুষের সংসার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে মকর-মহিলা সংসারের শ্রীবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।
মেষরাশির পুরুষ ও কুম্ভরাশির মহিলা:
কুম্ভ-মহিলার মনের মানুষকে সহজেই আপন করে নিতে পারে। আপন মানুষকে নিয়ে গড়ে ওঠে তার অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা। এসব পূরণ না হলে এরা হয়ে পড়ে বিষণ্ণ। কাজেই মেষ পুরুষকে কুম্ভ-মহিলার এসব প্রত্যাশার মূল্য দিতে হবে। কুম্ভ-মহিলা ঘরের কাজে তেমন পারদর্শী নয়। কুম্ভ-মহিলার চাহিদা পূরণকরতে পারলে মেষ পুরুষ বিনিময়ে ততটুকু পাবে। কুম্ভ-মহিলা অত্যন্ত অনুভূতি-প্রবণ। এর আবেগে সাড়া দিয়ে মেষ পুরুষ সার্থক জুটি গড়ে তুলতে পারে। কুম্ভ-মহিলা কিছুটা বেশি প্রগ্রেসিভ। অবশ্য মেষ-পুরুষও নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলতে জানে। এক্ষেত্রে অচলাবস্থার সৃষ্টি হলে কুম্ভ-মহিলা তার সঙ্গীকে ছেড়ে চলে যেতে পারে। তবে সবক্ষেত্রে এমনটি দেখা যায় না।
মেষরাশির পুরুষ ও মীনরাশির মহিলা:
এটি সার্থক জুটি। পৌরুষমণ্ডিত ও প্রাণচঞ্চল মেষ-পুরুষের যথার্থ নারীস্বভাবসুলভ মীন-মহিলা একান্ত কাম্য। মীন-মহিলার আবেগ অনুভূতিতে সাড়া দিতে হবে মেষ-পুরুষকে। তা নাহলে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এ জুটির পরস্পরের উচিত খোলাখুলি মনের ভাব প্রকাশ করা। তাতে করে উভয়ের নিকটতর হওয়ার সুযোগ মিলবে। মীন-মহিলার মনের গহনে কিছু না বলা কথা থাকতে পারে। এতে মেষ-পুরুষের বিরক্ত হওয়া চলবে না। কারণ তাতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কুম্ভ-মহিলা খুবই সামাজিক ও মিশুক। সে সকলের বক্তব্যের নীরব শ্রোতা। প্রয়োজনে সে যথার্থ পরামর্শও দিতে পারে। এসব মেষ-পুরুষও চায়। কাজেই উভয়ে মিলে সার্থক জুটি গড়ে ওঠে।