Cloud Kitchen RG Kar Protest 2024: ‘বিচার চায় তিলোত্তমা,’ খাবারের বিলে স্লোগান, আর জি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ সুইগির
Cloud Kitchen RG Kar Protest 2024 : প্রেসক্রিপশনের পর খাবার বিলে! আরজি কর মামলায় বিচারের দাবি উঠেছিল অভিনব উপায়ে
রাজ্য জুড়ে একটাই হাহাকার, ‘তিলোত্তমার বিচার চাই।’ প্রতিবাদের চিৎকার সারা শহর জুড়ে। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীর পাশে নীরবে দাঁড়িয়ে বিচার দাবি করেছে খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘সুইগি’। খাবারের পাশাপাশি প্রতিবাদও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে দ্বারে দ্বারে খাবার বিলের মাধ্যমে। সুইগির অভিনব প্রতিবাদ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। প্রশংসায় মুখরিত নেটমহল।
আরজি কর্তৃক চিকিৎসকদের ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বাংলাসহ সারাদেশে আগুন জ্বলছে। ‘রাতের দখল’ থেকে ‘মানববন্ধন’ পর্যন্ত বিচারের দাবিতে শহরজুড়ে চলছে বিক্ষোভ, মিছিল, বিক্ষোভ। যেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে ঢেকে গেছে গোটা বাংলা। রাজপথে নেমে এসেছে সর্বস্তরের মানুষ। এরই মধ্যে একটি খাবারের বিল সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থা সুইগির বিল স্পষ্টভাবে প্রতিবাদের ভাষা উচ্চারণ করে। বিলের একেবারে উপরে, যেখানে সাধারণত সংগঠনের নাম দেওয়া হয়, সেখানে লেখা আছে, ‘We WANT JUSTICE For RG Kar Case‘। এছাড়াও সেখানে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গে মহিলারা কি নিরাপদ? বাংলায় কর্তব্যরত ডাক্তাররা কি নিরাপদ? বিশেষ করে নারী চিকিৎসকদের জীবন সংশয়? এর পরে লেখা হয় #বিচারচায়তিলোত্তমা’#
এবার আরজি ট্যাক্স মামলার ‘ন্যায়বিচার’ দাবিও উঠেছে ক্লাউড কিচেনের বিলে। এর আগে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে তরুণ চিকিৎসকের ‘বিচারের’ দাবি ওঠে। এবার সেই পথেই হাঁটলেন শুচিস্মিতা ভট্টাচার্য এবং ব্যান্ডেলের একটি ক্লাউড কিচেনের মালিক প্রবীর ভট্টাচার্য।
প্রায় 25 দিন কেটে গেছে। আরজি কর মামলার দোষীদের ফাঁসি দিতে সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ রাস্তায় নেমেছে। কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনাকে আজও মেনে নিতে পারছে না কলকাতার মানুষ। স্কুলের ছাত্র থেকে শিক্ষক, ব্যবসায়ী থেকে আইনজীবী, অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবশালী- সর্বস্তরের মানুষ তাদের নিজস্ব উপায়ে এই প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন।
এরপর অবশ্য খাবার বিলের কিছু অংশ পরিচিত ছকে উপস্থাপন করা হয়। দেখা যাচ্ছে, বিলটি সুইগির। এই অভিনব প্রতিবাদের ভাষা ঘরে তুলতে সুইগির উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। অনেকে লিখেছেন, ‘যারা এখনও ঘরে বসে আছেন তাদেরও নিজেদের মতো করে প্রতিবাদে যোগ দেওয়া উচিত। সুইগির প্রতিবাদ সত্যিই অভিনব।’ কেউ বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রতিটি বেসরকারি সংস্থাকেও এই লড়াইয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
আরেকদিকে
এবার ক্লাউড কিচেনের বিলে আরজি কর মামলার ‘ন্যায়বিচার’ দাবিও উঠেছে। এর আগে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে তরুণ চিকিৎসকের ‘বিচারের’ দাবি ওঠে। এবার সেই পথে হাঁটলেন শুচিস্মিতা ভট্টাচার্য এবং ব্যান্ডেলের একটি ক্লাউড কিচেনের মালিক প্রবীর ভট্টাচার্য। নারায়ণপুর কলোনীর বাসিন্দা শুচিস্মিতা ও প্রবীর গত তিন বছর ধরে ক্লাউড কিচেন চালাচ্ছেন। মূলত, তারা অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে খাবার সরবরাহ করে। ছয় বছর আগে তিনি ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে শুরু করেন। গত তিন বছরে তারা অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে তাদের ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছে।
আরজির ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে দেশ-বিদেশের মানুষ রাজপথে মিছিল করেছে। শুচিস্মিতাও সেসব মিছিলে যোগ দিতে চেয়েছিল। সারাদিন খাবারের ব্যবসায় ব্যস্ত থাকার কারণে মিছিলে যেতে পারেননি। যাইহোক, তিনি একটি অভিনব উপায়ে প্রতিবাদে যোগ দিতে চান। শুচিস্মিতা তার কাজে প্রতিবাদের কণ্ঠ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তিনি একটি বহুজাতিক খাদ্য বিতরণ অ্যাপের মাধ্যমে হোম ডেলিভারি করেন। সে ক্ষেত্রে তিনি খাদ্য বিলের মাধ্যমে বিচার চেয়েছেন। সেই বিল পৌঁছে যাচ্ছে বাড়িতে। পাঁচজনের মধ্যে যারা উপস্থিত না হয়ে প্রতিবাদের আওয়াজ পৌছে দিচ্ছেন। ‘ফ্লেভার হোম সার্ভিস’-এর বিলে লেখা আছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর আরজি কর’। শুচিস্মিতা সমাজের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের নারীরা কি আদৌ সুরক্ষিত? কর্মক্ষেত্রে মহিলা ডাক্তাররা কি সুরক্ষিত? বিলে লেখা আছে, তুমিও সরব হও, তিলোত্তমা বিচার চাই। শুচিস্মিতা বলেন, “ক্লাউড কিচেনের ব্যবসা সামলে মিছিলে যোগ দিতে পারিনি। তাই বিলে প্রতিবাদ লিখছি। যেদিন থেকে আরজি কর ঘটনা ঘটল, সেদিন থেকেই প্রতিবাদটা মাথায় আসে। আমার ছেলে সাগ্নিক প্রথম এই ধারণার কথা বলেছিল। আমরা আমাদের সংগঠনের সব বিলের বিরুদ্ধে ১ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন করছি। কবে নাগাদ তরুণ ডাক্তারের বিচার পাব আমরা জানি না, তবে আশা ছাড়ছি না। যতদিন পারবো, এভাবেই প্রতিবাদ করে যাবো।
শুচিস্মিতার এই অভিনব প্রতিবাদকে স্বাগত জানিয়েছে খাদ্য সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত যুবকরাও। তরুণ ডাক্তারের বিচারের আওয়াজ সহজেই ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের ঘরে ঘরে। সেই বিলও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই ইতিমধ্যে এমন প্রতিবাদকে স্বাগত জানিয়েছেন। ডেলিভারি কর্মী অভিজিৎ দাস বলেন, “আরজি কর ঘটনায় প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে বিচার চাইছেন। এটা ভালো পদক্ষেপ। এর মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ আরও জোরালো হচ্ছে।
আরো পড়ুন: ১ সেপ্টেম্বর থেকে বদলে যাচ্ছে গ্যাস থেকে আধার, একগুচ্ছ নিয়ম! বিপদে পড়ার আগে জেনে নিন
আরো পড়ুন: সেপ্টেম্বরে টাকা লাফিয়ে আসবে! জেনে নিন 2024 পুজোর আগে কোন রাশির কপালে কেমন আয় হয়?
আরো পড়ুন: আরজি কর কেলেঙ্কারির প্রতিবাদে প্রেসক্রিপশনে কী লিখেছেন চিকিৎসক? এই মুহূর্তে ভাইরাল, দেখে নিন