IND vs SA: IND বনাম SA, যদি 17 ওভারে 200 রান করা যায়, তাহলে 20 ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা কেন? নির্মম ক্রিকেটের মন্ত্র ক্যাপ্টেন সূর্যের গলায়
IND vs SA: ডারবানে সঞ্জু স্যামসনের নিঃস্বার্থ মনোভাবের প্রশংসা করেছেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব।
শুক্রবার ডারবানে 14 ওভারে 160 রান ছুঁয়েছে ভারত। হাতে ছিল ৮ উইকেট। তা সত্ত্বেও শেষ ৬ ওভারে ভারতীয় দল মোট ৪০ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। এই 6 ওভারে 6 উইকেট হারিয়ে টিম ইন্ডিয়া। এক পর্যায়ে ভারত ২৩০ রান পার করতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে ৮ উইকেটে ২০২ রানে থামতে হয় সূর্যকুমারদের।
তবে ডেথ ওভারে ব্যাটিং লাইনআপের পতন নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। দল ৬১ রানে জিতলে এই সব কিছুই কোনো অধিনায়কের মাথায় থাকে না। সান তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি আক্রমণাত্মক ব্র্যান্ডের ক্রিকেট সরবরাহ করতে পেরে বরং খুশি।
ম্যাচ শেষে টিম ইন্ডিয়ার নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় দল কী ধরনের ক্রিকেট খেলতে চায়। সূর্যের সাফ দাবি ম্যাচটি ২০ ওভারের। কিন্তু 17 ওভারে যদি 200 রান করা যায়, তাহলে চেষ্টা করবেন না কেন?
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডেথ ওভারে ভারতের টানা উইকেট হারানো প্রসঙ্গে সূর্য বলেন, “আমরা একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি। আমরা আমাদের ক্রিকেটের ব্র্যান্ড পরিবর্তন করতে চাই না। ছেলেরা যেভাবে নির্ভীক ক্রিকেট উপহার দিয়েছে তা আমার মনে হয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে আমরা এমন নির্ভীক ক্রিকেট খেলতে চাই 17 ওভারে রান করা যায়, কেন চেষ্টা করবেন না!’
ডারবানে সঞ্জু স্যামসনের চাঞ্চল্যকর সেঞ্চুরি ভারতের জয়ের ভিত্তি স্থাপন করেছিল, এতে কেউ সন্দেহ করবে না। স্যামসন ৫০ বলে ৭ চার ও ১০ ছক্কায় ১০৭ রান করেন। ভারতীয় দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন তিলক ভার্মা (৩৩)।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় মামলা, রাজি হয়ে গেল ৩ জন, পার্থ চট্টোধ্যায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষী হচ্ছেন!নাম জানলে চমকে উঠবেন
স্যামসনের ইনিংস সঙ্গত কারণেই খুশি করেছে ভারতীয় অধিনায়ক। কিন্তু সূর্য স্যামসনের নিঃস্বার্থ মানসিকতায় মুগ্ধ। আসলে, অনেক ওভার হাতে থাকা সত্ত্বেও সঞ্জু 90-এর দশকে দাঁড়িয়ে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি করার কথা ভাবেননি। বরং দলের স্বার্থে বড় শট নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্যামসন ৯২ রানে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে যান।
ম্যাচ শেষে সূর্যকুমার এ প্রসঙ্গে বলেন, তার ইনিংসে আমি খুবই খুশি। গত কয়েক বছরে করা পরিশ্রম, দিনের পর দিন করা একঘেয়ে কাজ এখন ফল দিচ্ছে। তিনি দলকে ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে রাখেন। এমনকি 90-এ দাঁড়িয়ে চার-ছক্কা মারার চেষ্টা করেছিলেন। এটা তার নিঃস্বার্থ মানসিকতার প্রমাণ দেয়। এই কারণে এটি ভিন্ন।