Junior Doctor Hunger Strike: ‘সব দাবি পূরণের পরই আসল কার্নিভাল হবে’, জুনিয়র ডাক্তারদের এবার ব্রিগেডে সমাবেশ!
Junior Doctor Hunger Strike: এর বাইরে বাম-পদ্মা জোট আন্দোলনের নেপথ্যে থাকায় ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কুণাল ঘোষের অভিযোগ, আরজি কর হাসপাতালের শিকার মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তবে রাজ্যে পরিকল্পিতভাবে অশান্তির পরিবেশ বজায় রাখা হচ্ছে। এরই মধ্যে তারা সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছে।
আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণ চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। আর এই ঘটনার জেরে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেখানে জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকরাও যোগ দেন। ধর্মঘট থেকে অনশন এবং তারপর বিশ্বাসঘাতকতার কার্নিভাল। আর এবার কি এই আন্দোলনের অবসান হবে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে? চিকিত্সকদের যৌথ প্ল্যাটফর্মের একটি বিবৃতি গুঞ্জন উঠেছে। রাজনৈতিক সমাবেশ সাধারণত ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চিকিৎসকদের সমাবেশ হলে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ হবে। তাহলে কি তারা রাজনৈতিক সমাবেশ করবে? প্রশ্ন জাগে।
আরো পড়ুন: রমাপ্রসাদ, একজন মেডিকেল ছাত্র, বাম আমলে অনশন করেছিলেন, বাবার দেখানো পথেই অনশনে মেয়ে তনয়া
ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে গত ৯ অগস্ট থেকে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দু’মাস পরেও তাতে গতি রয়েছে বলে দাবি তাঁদের। প্রথমে যখন জুনিয়র ডাক্তাররা পাঁচ দফা দাবি তুলেছিলেন তখন চারটি সঙ্গে সঙ্গে পূরণ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ১০টি দাবি তোলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
তখন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিকদের জানান, ৭টি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। বাকি তিনটির ক্ষেত্রে সময় লাগবে। এবার ব্রিগেড সমাবেশের ইঙ্গিত দিতেই আন্দোলনকারী ডাক্তারদের তুলোধোনা করলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘সস্তার প্রচারের লোভে ব্রিগেড সমাবেশের ‘ইঙ্গিত’ দেওয়া বন্ধ হোক। হিম্মত থাকলে দিনক্ষণ ঘোষণা করুন।’
এবার জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবির পরিবর্তে কুণাল ঘোষ ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেছেন। যেটা পাল্টা প্যাঁচে ফেলা হয়েছে বলে মনে করছেন ডাক্তাররা। তার মধ্যেই সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। দ্রোহের কার্নিভালে যোগ দেন বহু সিপিএমের কর্মী–সমর্থকরা বলে দাবি কুণালের। যদিও জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে মানুষকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আসল কার্নিভাল হবে সব দাবি পূরণের পর।
সেদিন আর কোথাও নয়, সেদিন আপনারা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের দখল নেবেন এই বিশ্বাস আমাদের আছে।’ আর চিকিৎসক তমোনাশ ঘোষ বলেন, ‘আমরা ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড দখল করব একদিন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন চলছে তাতে দরকার পড়লে ব্রিগেডে আসতে হবে একদিন।’
ঠিক কী বলেছেন কুণাল? এছাড়া আন্দোলনের নেপথ্যে বাম–পদ্মের যোগ রয়েছে বলে আগে থেকেই সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কুণাল ঘোষের অভিযোগ, আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার বিচারের বিষয়টি এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তবু পরিকল্পিতভাবে রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ জিইয়ে রাখা হচ্ছে। আর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের সভা নিয়ে কুণালের কথায়, ‘কাল থেকে গিয়েই ব্রিগেডে বসে থাকুন। ব্রিগেড যাব একদিন, দিনক্ষণ, তারিখ দেবেন না? কাদের ল্যাজুড় হয়ে যাবেন এবার? কালকে যে আপনাদের ৭০০–৮০০ মানুষের সভা হয়েছিল, তাতে তো সিপিএমের নেতা আর কর্মীরা ভর্তি। উপনির্বাচনে প্রার্থী হোন। আর ব্রিগেডের গল্প, এই সস্তার প্রচারের দরকার নেই।’
আরো পড়ুন: রাজনীতি ছেড়ে দেব!’ গভীর রাতে তৃণমূল বিধায়কের আচমকা হুঁশিয়ারি, জোর জল্পনা