Khalistan movement: আমি বলেছিলাম যে শাহ জড়িত’, খলিস্তানি ইস্যুতে কানাডার মন্ত্রীর বিস্ফোরক বয়ান
Khalistan movement: আমি বলেছিলাম যে শাহ জড়িত’, খলিস্তানি ইস্যুতে কানাডার মন্ত্রীর বিস্ফোরক বয়ান
Khalistan movement: কানাডার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ডেভিড মরিসন স্বীকার করেছেন যে তিনিই ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদকের সাথে খালিস্তানি হামলার সাথে অমিত শাহের নাম যুক্ত করে কথা বলেছেন। তবে সে সময় তিনি সাংবাদিকের কাছে কোনো প্রমাণ হস্তান্তর করেননি।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ভারত-কানাডা কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের হত্যার ছকের ঘটনার জেরে ভারতীয় কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছিল মার্কিন সরকার। তবে এই দাবি পুরোপুরি খারিজ করে দিল মার্কিন স্টেট ডিপর্টমেন্ট। এই নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। জবাবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনও কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে তো আমি জানি না।
খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতবন্ত সিং পান্নুন হত্যাকাণ্ডের ছক কষার মামলায় বিকাশ যাদব নামক এক প্রাক্তন ‘র’ আধিকারিকের নামে ওয়ান্টেড পোস্টার জারি করেছে এফবিআই। এই আবহে বিকাশকে ভারত থেকে আমেরিকায় নিয়ে মামলা চালানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল ম্যাথিউ মিলারকে। সেই সময় মার্কিন আধিকারিক জানান, এই বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগের অধীনে। উল্লেখ্য, পান্নুনকাণ্ডে ইতিমধ্যেই ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্তাকে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে প্রত্যর্পণ করে মার্কিন মুলুকে নিয়ে গিয়েছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মার্কিন নাগরিক খলিস্তানি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ছক কষার অভিযোগে নিখিলকে গেফতার করা হয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্রে। গ্রেফতারির প্রায় একবছর পর চেক পুলিশ তাঁকে তুলে দিয়েছিল মার্কিন বিচার বিভাগের কাছে। এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার পরে নিখিলকে আদালতে পেশ করা হয়েছিল পান্নুন হত্যার চেষ্টার মামলায়। সেই মামলায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন নিখিল।
আরো পড়ুন: Ind vs China: পূর্ব লাদাখে LAC থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু ভারত ও চিনের
পান্নুন কাণ্ডে নিখিলের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?
নিখিলের বিরুদ্ধে ‘খুনের জন্য বরাত দেওয়ার’ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে আমেরিকার আদালতে। ভারত সরকারের এক এজেন্সির প্রাক্তন আধিকারিকের নির্দেশেই নাকি নিখিল এই কাজ করেছিলেন। দাবি করা হয়েছিল। দাবি করা হচ্ছে, উল্লেখিত সেই প্রাক্তন সরকারি আধিকারিকই আদতে বিকাশ। মার্কিন অ্যাটর্নি অফিসের তরফে দাবি করা হয়, খলিস্তানি জঙ্গিকে হত্যার জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলারের রফা হয়েছিল।
অগ্রিম বাবদ ‘আততায়ী’-কে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া হয়। তবে সেই ‘আততায়ী’ আদতে মার্কিন প্রশাসনেরই ‘আন্ডার কভার এজেন্ট’ ছিল। এরপরই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয় মার্কিন প্রশাসন।
আরো পড়ুন: ঘুরেফিরে সেই পর্ন-কাঁটা! ট্রাম্প – কে হারাতে প্রচারে ঝড় তুলছেন নীল ছবির কুশীলবেরা
কে এই বিকাশ যাদব?
রিপোর্ট অনুযায়ী, আর্থিক প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল বিকাশ যাদবকে। লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাঙের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। ৩৯ বছর বয়সি বিকাশকে ‘র’-তে নিয়োগ করেছিল ক্যাবিনেট সচিবালয়। তবে বর্তমানে তিনি সরকারি কর্মী হিসেবে নিযুক্ত নন। বিকাশের বাবা বিএসএফ কর্মী ছিলেন। ২০০৭ সালে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। বিকাশের বিয়ে হয়েছিল ২০১৫ সালে।
বিকাশ যাদবের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী একজন আইটি সংস্থার মালিক। তাঁর অভিযোগ ছিল, পশ্চিম এশিয়ায় বসবাসকারী বেশ কয়েকজন বন্ধুর বিষয়ে বিকাশ আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। সেই অভিযোগকারীকে নাকি অপহরণ করেছিলেন বিকাশ। জেরায় বিকাশের এক সহযোগী দাবি করেন, ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় বিকাশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল।
মোদি যুদ্ধের অবসানে প্রভাব ফেলতে পারেন’: জেলেনস্কি