lawrence bishnoi vs Salman Khan: ক্রমশই সলমানের উপর রাগ বাড়ছে বিষ্ণোইদের! আগুন লাগানো হল…
lawrence bishnoi vs Salman Khan: ক্রমশই সলমানের উপর রাগ বাড়ছে বিষ্ণোইদের! আগুন লাগানো হল…
lawrence bishnoi vs Salman Khan: ছেলের হয়ে সেলিম খানের বক্তব্য নেটপাড়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল হওয়ার পরেই রাজস্থানের জয়পুরে বিষ্ণোই সম্প্রদায় সলমান খান এবং সেলিম খানের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়।
গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের কট্টর নজরে বলিউডের সলমান খান। ১২ অক্টোবর এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি খুনের পর থেকেই রীতিমত আতঙ্কে রয়েছেন ভাইজান। এমনকি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার জন্য বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে যতক্ষণ না ক্ষমা চাইছে, ততক্ষণ পর্যন্ত শান্তি নেই সুপারস্টারের, এমনটাই জানিয়েছিল লরেন্স।
যদিও এবিষয়ে সলমানের বাবা সেলিম খান জোর গলায় দাবি করেছিলেন, তাঁর ছেলে কখনও কোনও প্রাণীর ক্ষতি করেনি। এমনকি তিনি নাকি কৃষ্ণসার হরিণের শিকারের ঘটনার সময় উপস্থিত-ই ছিলেন না। এমনকি সে কোনওদিন একটা আরশোলা পর্যন্ত মারেনি, কী করে একটা পশুর হত্যা করবে? সলমান কোনও অন্যায় করেনি, তাহলে সে কেন ক্ষমা চাইবে?
আরো পড়ুন: মোদি যুদ্ধের অবসানে প্রভাব ফেলতে পারেন’: জেলেনস্কি
লরেন্সের হুমকি একা সালমানের কাছে যায়নি। তার পরিবারকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। তিহার জেলে বসে সালমানের জীবনকে নানাভাবে হুমকি দিয়েছেন লরেন্স। ছেলের পক্ষে সেলিম খানের বক্তব্য নেটপাড়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এটি ভাইরাল হওয়ার পরপরই, রাজস্থানের জয়পুরে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ে সালমান খান এবং সেলিম খানের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়।
জয়পুরের বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের সদস্যরা শনিবার অভিনেতা সলমান এবং সেলিম খানের কুশপুত্তলিকা পোড়ায়। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের নেতারা জানিয়েছেন যে, ১৯৯৮ সালে সলমান খান কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করেছিলেন। ছেলেকে বাঁচানোর জন্য সেলিম খানের ‘বিভ্রান্তিকর’ বিবৃতিতে তাঁরা ক্ষুব্ধ। কৃষ্ণসার হরিণকে বিষ্ণোইরা পবিত্র বলে মনে করেন। ঘটনার পর সলমানকে খালাস দেওয়া হলেও, বিষ্ণোই সম্প্রদায় তাঁকে অন্যায়ের জন্য বারবার ক্ষমা চাইতে বলছে।
আরো পড়ুন: ঘুরেফিরে সেই পর্ন-কাঁটা! ট্রাম্প – কে হারাতে প্রচারে ঝড় তুলছেন নীল ছবির কুশীলবেরা
আরো পড়ুন: Ind vs China: পূর্ব লাদাখে LAC থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু ভারত ও চিনের
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই লরেন্স বিষ্ণোইয়ের আর এক খবরে সরগরম হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। জানা যায়, মহারাষ্ট্র বিধানসভায় প্রার্থী হওয়ার আর্জি গিয়েছে লরেন্সের কাছে। গুজরাটের সবরমতী জেলে বন্দি এই গ্যাংস্টার। উত্তর ভারতীয় বিকাশ সেনা রাজনৈতিক দলের তরফে এই আবেদন গিয়েছে, এমনটাই দাবি। জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত রয়েছে এই রাজনৈতিক দল।
এই গ্যাংস্টারকে উদ্দেশ্য করে লেখা সেই চিঠিতে ওই রাজনৈতিক দলের তরফে জানানো হয়েছে যে তাঁরা গর্বিত যে লরেন্স উত্তর ভারতীয় ও পঞ্জাবের বাসিন্দা। এখানেই শেষ নয়, সেখানে লরেন্সের সঙ্গে তুলনা করা হয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগত সিংয়েরও। এরপরেই ওই চিঠিতে লরেন্সকে অনুরোধ করা হয় যে তিনি যেন আগামী মাসে যে নির্বাচন হতে চলেছে তথা মহারাষ্ট্র নির্বাচনে প্রার্থী হতে রাজি হন।