Mamata Banerjee on Abhijit Ganguly : তমলুকে অভিজিতের নাম মুখে আনলেন না মমতা! কেন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে প্রকাশ্যে ‘অশালীন’ মন্তব্য?
Mamata Banerjee on Abhijit Ganguly : এমন নয় যে, এর আগে প্রাক্তন বিচারপতিকে রাজনৈতিক আক্রমণ করেননি মমতা। বিচারপতি থাকাকালীন পদমর্যাদাজনিত সৌজন্য দেখালেও বিজেপিতে যোগদানের পরে আক্রমণ করার সুযোগ ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী।
Mamata Banerjee on Abhijit Ganguly: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নাম করেননি যখন তিনি লোকসভা ভোটের প্রচারে তমলুক গিয়েছিলেন। তমলুতে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। বিজেপির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনী প্রচারের সময় তৃণমূলের প্ল্যাটফর্ম থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিজেদের ভঙ্গিতে আক্রমণ করছিলেন তৃণমূল নেতা নরেন্দ্র মোদী। অভিজিৎ সম্পর্কে তিনি কী বলেন তা জানতে আগ্রহী ছিলেন অনেকেই। কিন্তু ৩৬ মিনিটের বক্তৃতায় অভিজিৎ তো দূরের কথা, তার নাম পর্যন্ত বলেননি মমতা। এমনকি প্রাক্তন বিচারক অভিজিৎ, যিনি একবার রায় লিখেছিলেন, শিক্ষকদের চাকরি বাতিল নিয়ে বিজেপির অবিরাম আক্রমণের মধ্যেও তাকে উপেক্ষা করা হয়েছিল।
এমন নয় যে, প্রাক্তন বিচারপতিকে রাজনৈতিক আক্রমণ করেন না মমতা (Mamata Banerjee on Abhijit Ganguly:)। তিনি বিচারপতি থাকাকালীন পদমর্যাদাজনিত সৌজন্য দেখালেও বিজেপিতে যোগদানের পরে অভিজিৎকে আক্রমণ করার কোনও সুযোগ ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী। কখনও তাঁকে ‘বিচারপতির আসনে বসা কেউটে সাপ’ বলে কটাক্ষ করেছেন, কখনও তাঁকে ‘বিচারালয়ের কলঙ্ক’ বলে অভিহিত করে ‘দেহত্যাগে’র পরামর্শ দিয়েছেন। তা হলে বৃহস্পতিবারের উপেক্ষা কী জন্য?
অনেকেরই অনুমান, বৃহস্পতিবারের ‘উপেক্ষা’ বুধবারের ‘অশালীন’ মন্তব্যের জন্য। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার মমতার বক্তৃতার অব্যবহিত পরেই তৃণমূল একটি পোস্ট করে। তাতে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে ‘কুৎসিত এবং অশালীন’ ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ। বুধবার হলদিয়ার চৈতন্যপুরে একটি সভা ছিল তাঁর। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee on Abhijit Ganguly:) নাম করে তিনি বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুমি কত টাকায় বিক্রি হও?’’ সে কথা উল্লেখ করেই রাজ্যের শাসকদল তার কড়া নিন্দা করেছে। হলদিয়ার ওই সভার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে।
সেখানে অভিজিৎকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘তৃণমূল বলছে, রেখা পাত্রকে কেনা হয়েছিল ২০০০ টাকায়! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুমি কত টাকায় বিক্রি হও? তোমার হাতে কেউ ৮ লক্ষ টাকা গুঁজে দিলে চাকরি হয়, কেউ ১০ লক্ষ টাকা দিলে রেশন হাওয়া হয়ে যায়! কেন তোমার দাম ১০ লক্ষ টাকা? তুমি কেয়া শেঠকে দিয়ে মুখে মেকআপ করাও বলে? আর রেখা পাত্র গরিব মানুষ, লোকের বাড়িতে কাজ করে, আমাদের প্রার্থী। সে জন্য তাঁকে ২০০০ টাকায় কেনা যায়?’’ (বর্তমান সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি।)
সেখানেই না থেমে প্রাক্তন বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘এক জন মহিলা হয়ে এক মহিলা সম্পর্কে উনি এই মন্তব্য করেন কী করে? উনি আদৌ মহিলা কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে আমার!’’ অভিজিতের ওই মন্তব্যের সমালোচনা করে তৃণমূল লিখেছে, ‘‘উনি ভদ্রতার সীমা লঙ্ঘন করে এতটাই নীচে নেমেছেন যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর দাম ঠিক করছেন! এ কথা বলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে অসম্মানিত করার পাশাপাশি বাংলার মহিলাদেরও অসম্মান করেছেন।’’ অভিজিতের ওই মন্তব্যের জন্য এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে তাঁকে ‘নারীবিরোধী’ বলে মন্তব্য করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল। তবে মমতা ওই বিষয়ে একটি শব্দও বলেননি। তিনি তমলুকের সভায় জনতাকে লক্ষ্য করে বলেছেন, ‘‘আমার পার্টি আপনাদের টাকা দেবেও না। চাইবে না। আমরা কারও পকেটে টাকা গুঁজে দিয়ে আসতে পারব না। আর পার্টির নামে টাকা চাইলে আপনারাও দেবেন না।’’