Narendra Modi: ‘অনেক তপস্যা করেছি, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের জন্য ব্যয় করেছি’
মঙ্গলবার সকালে মহাকাল ও মা গঙ্গার পুজো করে বারাণসী থেকে মনোনয়ন জমা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিদিনই কোনো না কোনো রাজ্যে রোড শো ও জনসভা করছেন। প্রচারণা চলছে। একদিনে 3 থেকে 4 টি রাজ্যে চলছে। গতকাল বিহারের তিনটি স্থানে তিনি জনসভা করেছেন। তারপর বারাণসীতে সন্ধ্যায় রোড শো। মঙ্গলবার সকালে মহাকাল ও মা গঙ্গা পূজা করে বারাণসী থেকে মনোনয়ন জমা দেন। এই আসন থেকে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে লড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে News18-এর পরামর্শক সম্পাদক রুবিকা লিয়াকতের সাথে একটি একচেটিয়া সাক্ষাত্কারে বেশ কয়েকটি বিষয়ে স্পষ্টভাবে কথা বলেছেন। নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মোদি এবার নির্বাচনে লড়ছেন না। 140 কোটি দেশবাসী যুদ্ধ করছে। নির্বাচন নিয়ে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে। ভিড়ের মেজাজ বোঝার ক্ষমতা তার আছে। অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু বুঝি। এটা নির্বাচনের ওপরের অবস্থা। শুধু ভোট দিয়ে বিচার করা যায় না। দেশের মানুষ মোদির সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আরও অনেকে যোগ দিচ্ছেন”।
Mamata Banerjee:’195-200-র মধ্যে বিজেপি থাকবে’, আর ভারতের জোট…? ‘ফলাফল’ নিয়ে মমতার বড় ভবিষ্যদ্বাণী
2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বিশ্বাসের কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “দেশের মানুষ মনে করে যে দেশ অনেক ধরনের সরকার দেখেছে। কিন্তু বিজেপি এমন একটি মডেল দিয়েছে যাতে রয়েছে আধুনিক ভারত গড়ার সংকল্প, স্বপ্ন। এবং আজকে মোদি দেশের সাধারণ মানুষের স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করছেন দেশে স্টার্টআপ হচ্ছে, এর ফলে, তরুণরা মনে করছে যে, আমার সাফল্যের জন্য ভারত তার স্বপ্ন বুনছে।
নির্বাচন নিয়ে নার্ভাস? এই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “নার্ভাসনেস শব্দটা আমার অভিধানে নেই। এছাড়া আমি অনেক তপস্যা করেছি। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত দেশের জন্য ব্যয় করেছি। আর এই সব করেছি কারণ আমাদের দেশের মানুষ যোগ্য। ৭০ বছর ধরে দেশবাসীর সঙ্গে অবিচার হচ্ছে। যখন কেউ তার চোখের জল মুছে দেয়, পায়খানা পরিষ্কার করে, সে এই জিনিসগুলি ভুলতে পারে না।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার কঠিন সময়েও যেন সব বাড়িতে পাত্র পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষুধার্ত শিশুরা ঘুমাতে যায়নি। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে এবং এই আস্থা শক্তি যোগায়।