Site icon Bortoman

Narendra Modi on Ramakrishna Mission: ‘আমার জীবনে রামকৃষ্ণ মিশনের অবদান…’, মমতার তোপের জবাবে মোদির ‘ইমোশন কার্ড’

modi on ram krishna mission

Narendra Modi on Ramakrishna Mission: মোদি বলেন, ‘আমার জীবন গঠনে রামকৃষ্ণ মিশনের বিরাট অবদান সারা দেশ জানে। আমি রামকৃষ্ণ মিশনের কত কাছাকাছি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও যদি রাতে থাকতে হয়, আমি রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের সঙ্গে থাকি।’

Narendra Modi on Ramakrishna Mission : সম্প্রতি রামকৃষ্ণ মিশন এবং ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, এই সাধু সঙ্ঘগুলি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে। এই আবহে এবার বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে মোদী পালটা আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠতা তুলে ধরে মমতাকে তুলোধোনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী দাবি করেন, তাঁর জীবন গড়ে তোলার নেপথ্যে মিশনের অবদান রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘গোটা দেশ জানে আমার জীবন গড়তে রামকৃষ্ণ মিশনের কত বড় অবদান রয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে কত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আমার। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেও রাতে থাকতে হলে রামকৃষ্ণ মিশন সন্ন্যাসীদের সঙ্গে থাকি।

আরও পড়ুন: Teacher Update News: যোগ্য বা অযোগ্য প্রমাণ করতে হবে! রাজ্যের সমস্ত শিক্ষককে নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

মোদী আরও বলেন, ‘রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ বাংলার আধ্যাত্মিক পরিচয় এনেছে। আর এখানকার মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ থেকে এই মহৎ সংগঠনগুলোকে উত্যক্ত করছেন। আর তার হুমকিতে তৃণমূলের গুন্ডাদের সাহস বাড়ছে। আমি জানতে পেরেছি যে জলপাইগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম গত রাতে ভাংচুর করা হয়েছে। হয়রানির শিকার হন আশ্রমের কর্মচারীরা। তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বাংলাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল সরকার? একদিন বাংলার রামকৃষ্ণ মিশন হুমকির মুখে পড়বে, আশ্রম ভাংচুর করা হবে… কোনো দেশবাসী কি কখনো এটা ভেবেছিল? কিন্তু তৃণমূল তাদের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করতে সব সীমা অতিক্রম করেছে।’

আরও পড়ুন: Money Scam: মোদির বৈঠকের পর হোটেলে বিজেপি নেতাদের গোপন বৈঠক, সেখানেই খোঁজ টাকার পাহাড়ের! ব্যাপক চাঞ্চল্য

এর আগে, নির্বাচনের সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজকে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রামকৃষ্ণ মিশনও ‘কাঠগড়া’তে উঠেছিল। পরে অবশ্য সুর নরম করেন মমতা। তবে ১৮ মে তার ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘সকল সাধু এক নয়। সব আত্মীয় সমান নয়। আমরা কি সবাই সমান? বহরমপুরের এক মহারাজ আছেন। আমি অনেক দিন ধরে শুনছি… কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রতি আমার খুব শ্রদ্ধা ছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে আমার সম্মানের তালিকায় রয়েছে। কিন্তু যে লোকটা বলে, আমি তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না… আমি সেই লোককে সাধু মনে করি না। কারণ তিনি সরাসরি রাজনীতি করে দেশকে ধ্বংস করছেন।

আরও পড়ুন: WB Lok Sabha Election Update: শীর্ষে থেকেও ‘হেরে গেল’ বাংলা, কমিশনের ভোট পরিসংখ্যানে উঠল এল কোন তথ্য

এরপর মমতা আরও বলেন, ‘যারা এসব করছে, আমি তাদের চিহ্নিত করছি। আমি রামকৃষ্ণ মিশকে সাহায্য করিনি। যখন সিপিএম খাবার বন্ধ করেছিল, আমি আপনাকে সমর্থন করেছি। তখন সিপিএম আপনাকে কাজ করতে দেয়নি। আর আসানসোলে একটা রামকৃষ্ণ মিশন আছে… দিল্লি থেকে অর্ডার আসে। বিজেপিকে ভোট দিতে বলা হয়েছে। সাধুরা কেন এমন করে? রামকৃষ্ণ মিশন সকলের কাছে সম্মানিত। সেখানে যারা সদস্য হন, দীক্ষা নেন। আমি তাদের ভালবাসতে পারি। আমি সূচনা করতে পারি। কিন্তু রামকৃষ্ণ মিশন কোনো দিন ভোট দেয় না। আমি যে জানি. তাহলে আমি কেন অন্যকে ভোট দিতে বলব? মনে রেখো, স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির অস্তিত্বই থাকত না, যদি তোমার এই মেয়েটির জন্য না থাকত।’

আরও পড়ুন: Lok Sabha Vote: চতুর্থ দফায় কতটি আসনে জয়ী বিজেপি? শুভেন্দুর বড় দাবি

 

Exit mobile version