Ratan Tata On Singur: সিঙ্গুর থেকে নিজের স্বপ্নের প্রকল্প সরিয়ে নিলেন, বিদায় বেলায় কী বললেন রতন টাটা?
Ratan Tata On Singur: সিঙ্গুর থেকে নিজের স্বপ্নের প্রকল্প সরিয়ে নিলেন, বিদায় বেলায় কী বললেন রতন টাটা?
Ratan Tata On Singur: সিঙ্গুর থেকে ন্যানো কারখানা সরানোর পর কী বললেন রতন টাটা? 16 বছর আগের ভাষণটি জেনে নিন।
18 মে, 2006। রতন টাটা স্বপ্নের প্রকল্প ঘোষণা করেন। হুগলি জেলার সিঙ্গুরে তৈরি হবে ‘ন্যানো’ গাড়ির কারখানা। প্রকল্প ঘোষণার কয়েকদিন পরই শুরু হয় জমি আন্দোলন। 997 একর জমির মধ্যে 400 একর জমি নিয়ে চরম বিরোধিতা শুরু হয়। সিঙ্গুর আন্দোলনের পুরো পর্বের নেতৃত্বে ছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার, একদিকে টাটা গোষ্ঠী এবং তার নেতা রতন টাটা, অন্যদিকে তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে ধারাবাহিক আন্দোলন। অবশেষে, 3 অক্টোবর, 2008-এ, টাটা গোষ্ঠীর প্রধান রতন টাটা সিঙ্গুর থেকে প্রকল্পটি সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন।
সিঙ্গুর থেকে কারখানা সরিয়ে নেওয়ার পর কী বলেছিলেন তিনি? ফিরে দেখা যাক টাটা-র বিদায় পর্বের শেষ লগ্নে রতন টাটার বক্তব্যের বেশ কিছু অংশ।
কেন সরিয়ে নিতে হচ্ছে কারখানা? রতন টাটা বলেন, ‘আমাদের কাজের একটি টাইম লাইন রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মানুষের সামনে এই কাজ তুলে ধরার জন্য আমরা দায়বদ্ধ ছিলাম। তবে, আমরা বিশ্বাস করি না যে আমরা পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছি। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, ভবিষ্যতে অন্য প্রকল্পের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে বেছে নেওয়া হবে।’
আরো পড়ুন: আইনের চোখ আর বাঁধা নয়, তরোয়ালের জায়গায় সংবিধান, সুপ্রিম কোর্টে বসল ‘লেডি অব জাস্টিস’-র নতুন মূর্তি
তৎকালীন সরকার ও বিরোধী দল নিয়ে কী বলেছিলেন তিনি? রতন টাটা বলেন, “বর্তমান সরকারের শিল্প-বান্ধব নীতিতে আকৃষ্ট হয়ে আমরা দুই বছর আগে এখানে এসেছি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী) নেতৃত্বের প্রতি আমাদের এখনও অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। আমরা অনেক কৃতজ্ঞ। আমরা যে দুই বছর কাজ করেছি, সরকার আমাদের যে সহায়তা দিয়েছে এবং তারা যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে দুর্ভাগ্যবশত আমরা বিরোধী দলগুলির থেকে ক্রমাগত আন্দোলন এবং বড় আগ্রাসনের মুখোমুখি হয়েছি যা আসলে আমাদের প্রকল্পটি সরানোর অন্যতম কারণ।
টাটার ন্যানো প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন রতন টাটাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমার মাথায় বন্দুক ঠেকালেও আমি মাথা সরাব না।’ তবে, এই প্রকল্পের বিদায় বেলায় রতন টাটা সেই উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, ‘দু’বছর আগে আমি বলেছিলাম, কেউ যদি আমার মাথায় বন্দুক ঠেকায়, তাহলেও আমি মাথা সরাব না। আমি মনে করি ট্রিগারেই চাপটা দিয়েছেন মিস ব্যানার্জি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কীভাবে উৎপাদন করব, যেখানে আমাদের বলা হয় যে আন্দোলন চলবে। মিস ব্যানার্জি যখন প্রকাশ্যে বলেন, যে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা আমাদের চায় না, তখন আমরা কীভাবে কাজ চালিয়ে যাব? সুতরাং এই সমস্ত বিষয়গুলি একত্রিত করলেই বোঝা যায়, আমাদের কাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ নেই।’প্রকল্পটি সরানোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে টাটা বলেছেন, ‘আমি অত্যন্ত ব্যথিত। এটা খুবই বেদনাদায়ক সিদ্ধান্ত যা আমাদের অনেকের স্বপ্নকে ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি নিশ্চিত যে এই সিদ্ধান্তটি তাদের জন্য আরও হতাশাজনক যারা প্রকল্পটির শুরু থেকে কাজ করেছেন। তবে আমি মনে করি, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।
আরো পড়ুন: ‘সব দাবি পূরণের পরই আসল কার্নিভাল হবে’, জুনিয়র ডাক্তারদের এবার ব্রিগেডে সমাবেশ!
আজও, সিঙ্গুরের ৯৯৭ একর জমির ভবিষ্যত বদলায়নি। সিঙ্গুর কৃষি জমি রক্ষা কমিটির তৎকালীন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, সিঙ্গুরের আন্দোলন টাটার বিরুদ্ধে ছিল না। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকারের পুলিশি অত্যাচার ও জোর করে জমি কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে ছিল এই আন্দোলন। সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, ‘সিঙ্গুরের জমি নিয়ে আন্দোলন ছিল। টাটার বিরুদ্ধে ছিল না। রাজ্যপাল (তৎকালী