Rekha Patra Asset: গাড়ি-বাড়ি নেই, ব্যাঙ্কে মাত্র কয়েক হাজার টাকা, বিজেপির রেখা পাত্রের কত সম্পত্তি?
নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, রেখার কাছে বর্তমানে সর্বমোট টাকা রয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্কে তাঁর একটি অ্যাকাউন্ট এবং একটি নির্বাচনী অ্যাকাউন্ট রয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাঁর মোট পরিমাণ ১০ হাজার ৭৬৪ টাকা। কিন্তু তার বাড়ি নেই, গাড়ি নেই। এমনকি গয়নাও নয়।
সন্দেশখালিতে বিজেপির তুরুপের তাস রেখা পাত্র। আন্দোলনের অন্যতম মুখ রেখা পাত্র বসিরহাট থেকে বিজেপি মনোনীত হয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী হাজী নুরুল ইসলাম, যিনি অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছেন, সেই লাইনের বিপক্ষে। ১ জুন বসিরহাটে শেষ দফার ভোট। সেই লক্ষ্যেই নির্বাচনী হলফনামা জমা দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। রেখা পাত্রের সম্পত্তির পরিমাণ কত? তিনি কতদূর পড়াশোনা করেছেন? এছাড়াও তার নামে কয়টি এফআইআর আছে? নির্বাচনী হলফনামায় সে সবই উল্লেখ করেছেন বিজেপি প্রার্থী।
আরও পড়ুন: গাড়ি-বাড়ি নেই, অভিষেকের সম্পত্তি কত? কত সোনা আছে? ব্যাংকে কত টাকা?
রেখা পাত্রের সম্পত্তি
নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, রেখার কাছে বর্তমানে সর্বমোট টাকা রয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্কে তাঁর একটি অ্যাকাউন্ট এবং একটি নির্বাচনী অ্যাকাউন্ট রয়েছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তাঁর মোট পরিমাণ ১০ হাজার ৭৬৪ টাকা। কিন্তু তার বাড়ি নেই, গাড়ি নেই। এমনকি গয়নাও নয়। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি কিছুই পাননি। টাকা না থাকায় কৃষি জমি বা অকৃষি জমি কেনার সামর্থ্য নেই। সন্দেশখালির বিজেপি প্রার্থীর একটাই কুঁড়েঘর। কিন্তু ব্যাংকে ঋণ নেই।
অন্যদিকে, রেখা পাত্রের স্বামী সন্দীপ পাত্রেরও স্টেট ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এতে জমা রয়েছে মোট ৪ হাজার ৬৯২ টাকা। তারও বাড়ি-গাড়ি নেই।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রেখা পাত্রের কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন যে তিনি প্রার্থী হওয়ার পর রেখা পাত্রকে ফোন করেছিলেন। তিনি রেখা পাত্রকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে যেহেতু তাঁর কাছে টাকা নেই, তাই তিনি জনগণের কাছে গিয়ে একটি ভোট এবং এক টাকা চাইতে হবে। তবে টাকা চাওয়ার বিষয়ে স্পষ্ট করেননি রেখা পাত্র। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, তিনি টাকা চাইতে পারেন না। তিনি টাকার লোভ নন, তিনি শুধু ভোট চান। দরিদ্র পরিবার থেকে আসা রেখার সততা দেখে মুগ্ধ হন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
দরিদ্র পরিবারের রেখা বেশিদিন পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, তিনি পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তার নিজের কোনো আয় নেই। তবে তার স্বামী পেশায় রাজমিস্ত্রি।
এদিকে রেখার বিরুদ্ধে আগের কোনো ফৌজদারি মামলা ছিল না। তবে গত ফেব্রুয়ারিতে সন্দেশখালীর আন্দোলনের সময় তার বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়। এপ্রিল মাসে আরেকটি মামলা হয়। তবে কোনো ক্ষেত্রেই চার্জ ফ্রেম হয়নি।