Relationship: আপনার আচরণ শিশুর উপর কি প্রভাব ফেলে? একদম কিছু বলবেন না
Relationship: আপনি আপনার সন্তানের সাথে কী কথা বলেন তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি তার সামনে অন্যদের সমালোচনা করা বা কঠোরভাবে কথা বলাও উপযুক্ত নয়।
শিশুকে ভালোবাসার পাশাপাশি তাকে শাসন করাও জরুরি। কিন্তু জ্ঞাতসারে বা অজান্তে, প্রত্যেক পিতা-মাতাই তাদের সন্তানকে এমন কিছু বলেন, যা তাদের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। বা সন্তানের সামনে এমন আচরণ করে, যা ঠিক নয়। অনেক অভিভাবক সন্তানের সামনে তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন বা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া, ঝগড়া, এমনকি কড়া কথাও বলেন। পরিবারে অন্যের সমালোচনা যে নেই তা নয়। ফলে শিশু সে সব দেখে ও শোনে এবং মনের মধ্যে গেঁথে রাখে। পরবর্তী সময়ে তাদের আচরণ ও কথাবার্তায় তা প্রকাশ পায়। তাই সন্তানের সামনে কোন কথা বলা উচিত নয় তা জানা প্রত্যেক বাবা-মায়ের জন্যই জরুরি।
আরো পড়ুন: কোন গোপনে মন ভেসেছে শ্যামোপ্তি’র? রণজয়ের সঙ্গে প্রেম নিয়ে সিক্রেট ফাঁস করলেন রচনা-
1) মনোবিজ্ঞান বেশ জটিল। এমনকি আপনার অসতর্ক কথাও শিশুর মনে দারুণ প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি শিশুকে যা বলেন তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি শিশুর সামনে আপনি কী আলোচনা করেন তাও গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, শিশুকে বকাঝকা করার সময় কখনোই গালিগালাজ বা অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করবেন না। এমনকি সন্তানের সামনে নিজের সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে সংযমী হন। কোনো গালিগালাজ বা অশালীন কথা শিশুর মনে গভীর প্রভাব ফেলে। এই শব্দগুলি তারা প্রথমে শোষণ করে। তাই সাবধান।
2) দাদা-দাদি বা ভাইবোনের সাথে কখনোই তুলনা করবেন না। এতে শিশুর মনে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। এর স্বতন্ত্রতা স্বীকার করুন। ভালো কাজের প্রশংসা করুন।
3) অভিযুক্ত কিছু বলবেন না। শিশু যদি ভুল করে তবে তা নির্দেশ করুন। কি ধরনের ত্রুটি ঘটছে উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করুন। কখনও এমন কিছু বলবেন না যা তাদের আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেয়। ইতিবাচক শব্দ ভুল সংশোধন করতে পারে।
4) মা বাবাকে খুব একটা ভালোবাসেন না- সন্তানকে এই প্রশ্ন কখনোই করবেন না। কারণ মা ও বাবা উভয়ই সন্তানের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। কাকে বেশি ভালোবাসে বারবার জিজ্ঞেস করলে শিশুর মিথ্যা বলার প্রবণতা তৈরি হবে। সে জানবে কার সামনে কী বলবে। ফলস্বরূপ, তারা অল্প বয়স থেকেই গল্প করতে এবং মিথ্যা বলতে শিখবে।
৫) দাম্পত্য সমস্যা, পারিবারিক কলহ নিয়ে সন্তানের সামনে কথা বলবেন না। সন্তানদের সামনে কখনোই কাছের মানুষদের সমালোচনা বা আলোচনা করবেন না। এই সব কথা তাদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাহলে অন্যের প্রতি শিশুর আচরণ ও আচরণ সঠিক হবে না।
৬) ছেলে-মেয়ে ভেদাভেদ করবেন না! একই চোখে দুজনের দিকে তাকাও। আপনি ছেলেকে যে স্বাধীনতা দিয়েছেন তা থেকে মেয়েটিকে বঞ্চিত করবেন না। তবেই শিশু সবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব গড়ে তুলবে।
আরো পড়ুন: সক্রিয় মৌসুমী অক্ষ! একটানা বৃষ্টিতে উত্তর-দক্ষিণের কোন জেলাগুলো ভাসবে? আলিপুর জানিয়েছে
7) সব সময় কাজে বাধা দেবেন না। সবকিছুকে ‘না’ বলবেন না। আপনার মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা দিন। তবেই দায়িত্ববোধ তৈরি হবে। ভুল থেকে শিখুন। কি কাজ করছে ট্র্যাক রাখুন. ভুল হলে ঠিক করুন। আপনি যদি বারবার সমস্ত ক্রিয়াকলাপ নিষিদ্ধ করেন তবে শিশুর আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাবে। আপনি নতুন কিছু করতে উত্সাহিত করা হবে না।
আরো পড়ুন: রেশন কার্ড বাতিল না চাইলে ও ফ্রি রেশন পেতে অবশ্যই করুন এই কাজ