Sandip Ghosh RG Kar: সর্বনাশ! তদন্তকারীদের মাথায় হাত, সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপে এগুলো কী! এমন কী মিলল?
Sandip Ghosh RG Kar: সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপে এমন কিছু পাওয়া গেছে, যা দেখে চমকে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।
আরজি কর তদন্ত যতই এগোচ্ছে, একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ‘কার্য’ সামনে আসছে। সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপে এমন কিছু পাওয়া গেছে, যা তদন্তকারীদের চমকে দিয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, সন্দীপের ল্যাপটপে বেশ কিছু নগ্ন পুরুষের ছবি পাওয়া গেছে! প্রসঙ্গত, 2017 সালে হংকংয়ের একটি ঘটনাও সামনে এসেছে। যেখানে সন্দীপ ঘোষ হংকংয়ের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালের একজন পুরুষ নার্সের শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, পুরুষ নার্স যখন পোশাক পাল্টাচ্ছিলেন, তখন সন্দীপ হঠাৎ তাঁর চেম্বারে ঢুকে পড়েন। পাছায় বেশ কয়েকটা চড়। নার্সের গোপনাঙ্গ স্পর্শ করতে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ!
যদিও সে সময় সন্দীপ ঘোষ বিষয়টিকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে দাবি করেছিলেন। তিনি দাবি করেন যে তিনি ব্যথা উপশমের জন্য একটি বিশেষ ব্যায়াম প্রদর্শন করছেন।
এবার আরজি কর মামলার প্রেক্ষাপটে, সূত্র জানিয়েছে যে সন্দীপের ল্যাপটপে বেশ কয়েকজন পুরুষের নগ্ন ছবি পাওয়া গেছে। প্রসঙ্গত, এই ল্যাপটপটি সন্দীপ ঘোষ তাঁর বেলেঘাটার বাড়ি থেকে সরিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রেখেছিলেন। যদিও পরে সেটিও পাওয়া গেছে।
ওই ল্যাপটপের একাধিক ফাইলে অর্থ লেনদেনের বিভিন্ন উৎস পাওয়া গেছে, টেন্ডার সংক্রান্ত ডিজিটাল নথিও পাওয়া গেছে।
অপরদিকে তাঁর স্ত্রী, যিনি সন্দীপের মতোই পারদর্শী, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই সম্পত্তি ‘কেনেন ! কৃতিত্বের নিরিখে তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষও কম নন! ইডি-র তল্লাশি অভিযানে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। মঙ্গলবার সন্দীপ ঘরনির অননুমোদিত সম্পদের হিসাব দিয়ে ইডি একটি বিবৃতি জারি করেছে।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী, সরকারি নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে একের পর এক সম্পত্তির ‘মালিক’ হয়ে উঠেছেন। মঙ্গলবার ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) এর তরফে এই প্রেক্ষাপটে চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। তারা বলেছে যে সন্দীপ ঘরনির নামে অন্তত দুটি স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে, যেগুলির কোনও রাজ্য সরকারের অনুমোদন নেই।
আরজির কর কোনও আর্থিক দুর্নীতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে ইডি। মঙ্গলবার এ বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়। জানানো হয়েছে, ৬ সেপ্টেম্বর ইডি-র কলকাতা শাখা একসঙ্গে সাতটি সম্পত্তিতে অভিযান চালায়। যার মধ্যে সন্দীপ ঘোষ এবং তার বেশ কিছু আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বসতবাড়ি ছিল।
প্রসঙ্গত, আরজির আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই এবং এসিবি (দুর্নীতি দমন ব্যুরো) দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি তদন্ত শুরু করে। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, 1988 অনুসারে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
ইডি তদন্তকারীরা দাবি করেছেন যে সন্দীপের স্ত্রী ডাঃ সঙ্গীতা ঘোষ পরিবর্তে, 2021 সালে তার স্বামী সন্দীপ ঘোষের দ্বারা সম্পত্তি কেনার জন্য একটি ‘পোস্ট ফ্যাক্টো অনুমোদন’ দেওয়া হয়েছিল। যখন এই ঘটনাটি ঘটে তখনও ড. আরজি কর। একই কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বসেছিলেন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী সঙ্গীতা।
ইডি আরও জানিয়েছে যে তল্লাশি অভিযানের সময় তারা ঘোষ দম্পতির বেশ কয়েকটি সম্পত্তি খুঁজে পেয়েছে। উদ্ধার হওয়া অসংখ্য নথি অনুসারে, ‘ডাক্তার বাবু’ ও তাঁর স্ত্রীর মুর্শিদাবাদে একটি এবং কলকাতায় তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়াও কলকাতায় তাদের দুটি বাড়ি রয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের মালিকানাধীন একটি খামারবাড়িও পাওয়া গেছে।
ইডি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘তল্লাশি অভিযানের সময় অনেক নথি এবং ডিজিটাল ডিভাইস পাওয়া গেছে, যা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। এই নথিগুলিতে বেশ কয়েকটি সম্পত্তির উল্লেখ রয়েছে, যা অপরাধের অবলম্বন করে ক্রয় করা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা ইতিমধ্যেই সন্দীপকে এক তরুণী মেডিকেল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে। এদিকে 2শে অগাস্ট সিবিআই তাকে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার আদালত তাকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। অন্তত প্রাথমিকভাবে তাই মনে হচ্ছে।’
আরো পড়ুন: সূর্য, চন্দ্র ও বুধের ত্রিগ্রহী রাজযোগের ট্রিপল ডোজ! ৫০ বছর পর তিন রাশির জন্য খনির সন্ধান!
আরো পড়ুন: দুর্গাপূজার সময় শনির প্রভাব! কি আছে এই ৬ রাশির কপালে?
আরো পড়ুন: জ্যোতিষশাস্ত্র- বুধের উত্তরণে ঘুরবে ভাগ্যের চাকা! কপালে সম্পদের বন্যা, শুভ সময় দুয়ারে