Strike of Junior Doctors: বাম আমলে আন্দোলন-অনশন করেছিলেন ডাক্তারি ছাত্র রমাপ্রসাদ, বাবার দেখানো পথেই অনশনে মেয়ে তনয়া
Strike of Junior Doctors: সোমবার ধর্মতলায় অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তনয়াকে। তমলুক শহরের একজন সিনিয়র অটোল্যারিঙ্গোলজিস্ট রমাপ্রসাদ একমাত্র মেয়েটির শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত কিন্তু গর্বিত। সময় বদলেছে, সরকার বদলেছে। কিন্তু প্রতিবাদের পদ্ধতি বদলায়নি বাবা-মেয়ে।
বাম আমলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের উন্নয়নের দাবিতে অনশন করেছিলেন সত্তরের দশকের মেডিক্যাল ছাত্র রমাপ্রসাদ পাঁজা। সে সময় জেলও খেটেছেন তিনি। কয়েক দশক পরে, রমাপ্রসাদের মেয়ে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার তানিয়া পাঞ্জা, বর্তমান তৃণমূল যুগে সমগ্র রাজ্যে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার আমূল সংস্কারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে যোগ দেন।
সোমবার ধর্মতলায় অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তনয়াকে। তমলুক শহরের একজন সিনিয়র অটোল্যারিঙ্গোলজিস্ট রমাপ্রসাদ একমাত্র মেয়েটির শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত কিন্তু গর্বিত।
আরো পড়ুন: লক্ষ্মীপুজোর ২ দিনই বৃষ্টি হবে ২০ জেলায়! কোনজেলা শুকনো থাকবে? পরে ভাসবে বাংলা?
কারণ, তিনি তার আদর্শ ও নীতিবোধ, প্রতিবাদের মানসিকতা শিশুর মধ্যে সঞ্চারিত করতে পেরেছেন। বউ মারা গেছে বছর পাঁচেক আগে। বাবা মেয়ে একে অপরের আশ্রয়। মঙ্গলবার অসুস্থ অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে মেয়ের সঙ্গে দেখা করেন রমাপ্রসাদ।
রমাপ্রসাদ আজ বিকেলে ফোনে বলেন, মেয়েটির অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নয়। অল্প কথা হয়েছে।” শুরু থেকেই জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগ্রামে এই সিনিয়র ডাক্তারের নৈতিক সমর্থন ছিল। তিনি নিজেও দুবার স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্না মঞ্চে গিয়েছিলেন।
রমাপ্রসাদ জানালেন, ১৯৭৯ সালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময় কলেজে উন্নয়নের দাবিতে অনশন-আন্দোলন করে গ্রেফতার হয়েছিলেন। জেলও খেটেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এখন জুনিয়র ডাক্তাররা যে ১০ দফা দাবি পূরণে আন্দোলন করছেন, তার অন্যতম ‘থ্রেট কালচার’ বা হুমকি প্রথা বন্ধ করা। ওদের সব দাবির প্রতি আমার নৈতিক সমর্থন রয়েছে। আমার মেয়ে তনয়া আন্দোলনে রয়েছে। অনশনে বসার আগে ও আমাকে জানিয়েছিল। আমি সমর্থন করেছি।’’
আরো পড়ুন: রাজনীতি ছেড়ে দেব!’ গভীর রাতে তৃণমূল বিধায়কের আচমকা হুঁশিয়ারি, জোর জল্পনা
তনয়ার বাড়ি তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে বামনআড়া গ্রামে। বাবার মতো তিনিও নাক-কান-গলা বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হওয়ার পথে এগোচ্ছেন। ওই বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট। গত ৯ অগস্ট আর জি করে চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে শুরু হওয়া জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে শামিল হন তনয়া। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নায় ছিলেন।
এর পর ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’-এর যে সব প্রতিনিধি অনশনে বসেন, তাঁদের অন্যতম ছিলেন তনয়া। টানা দশ দিন অনশনের পর তনয়ার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হয়। তাঁকে সোমবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।