Sudip Mukherjee ‘বাবা-মা বাড়িতে না থাকলে…’ ছোটবেলায় আত্মীয়ের হাতে যৌন হেনস্থার শিকার সুদীপ!

Sudip Mukherjee :  ‘বাবা-মা বাড়িতে না থাকলে…’ ছোটবেলায় আত্মীয়ের হাতে যৌন হেনস্থার শিকার সুদীপ!

ছোট পর্দায় তিনি বেশ পরিচিত। বেশিরভাগ সময়ই তাকে ভিলেন হিসেবে দেখা যায়। কিন্তু জানেন কি এই অভিনেতা নিজেই একসময় যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন?

কয়েকদিন আগে চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে হওয়া যৌন হেনস্থা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। ছোটবেলায় তিনি কীভাবে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তা জানিয়েছেন। তার কিশোর বয়সে তার এক আত্মীয় তাকে নির্যাতন করেছিল। সম্প্রতি সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মি টু পোস্ট করেছেন তিনি। চূর্ণীর এই পোস্টে নাট্যকার বেণী বসুর কথাও উঠে এসেছে। চূর্ণী তার লেখায় তুলে ধরেছেন কীভাবে তিনি শ্লীলতাহানিকারীদের নাটকের মঞ্চ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছেন। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়।

Sudip Mukherjee

Sudip Mukherjee

যৌন হেনস্থা নিয়ে কী বললেন সুদীপ মুখোপাধ্যায়?
সুদীপ মুখোপাধ্যায় ছোট পর্দার খুব পরিচিত মুখ। বর্তমানে তাকে বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে যার মধ্যে একটি হল স্টার জলসার বন্ধু। এখানে তিনি একজন শ্লীলতাহানির চরিত্রে অভিনয় করছেন। কিন্তু পর্দায় তিনি যতই শ্লীলতাহানির চরিত্রে অভিনয় করেন না কেন, বাস্তবে তিনি নিজেই যৌন হয়রানির শিকার।

অনেকে মনে করেন শুধুমাত্র নারীরাই যৌন হয়রানির শিকার হতে পারেন। কিন্তু তা নয়। সুদীপ মুখোপাধ্যায় টিভি নাইন বাংলাকে তার অভিজ্ঞতার কথা বলেন, ‘আমি যখন 4-5 বছর বয়সী তখন আমার এক আত্মীয় আমাকে শ্লীলতাহানি করেছিল। আমি সেই ব্যক্তির নাম আর বলতে চাই না। কিন্তু সে আমাকে অনেক মারতো। আগের দিন ক্যালেন্ডারে টিনের পাতা দিয়ে আমাকে মারতেন। সে আমাকে বিভিন্নভাবে শ্লীলতাহানি করেছে।’

Sudip Mukherjee

Sudip Mukherjee

তারপর সুদীপ বলল, ‘ও আমার প্যান্ট খুলত। সে আমার গোপনাঙ্গ মারধর করে। বাড়িতে আমি একা থাকাকালীন সে এই অমানবিক কাজ করেছে। আমার বাবা বাইরে ছিলেন, আর আমার মা কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় তিনি আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এখনো কাউকে বলতে পারিনি।’

সেই ঘটনায় এখনও আতঙ্কিত সুদীপ। ভুলতে পারিনি সেই সব বাজে স্মৃতি। আজও সে কথা মনে পড়লে কান্না পায়। সবশেষে তিনি বলেন, ‘অনেকে মনে করেন শারীরিক নির্যাতন শুধু ছোট শিশুদের সঙ্গেই হয়। কিন্তু ছোট ছেলেরাও এর শিকার। আর আমি নিজেই তার উদাহরণ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *