WB State Employees Scheme: মাসে মাসে বেতন থেকে টাকা কেটে ‘নিজের পকেট ভরাচ্ছে সরকার’, বিস্ফোরক রাজ্যের শ্রমিকরা
WB State Employees Scheme: রাজ্য সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন জেলায় কর্মরত সরকারি কর্মচারীরা।
রাজ্য সরকার সরকারি কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য প্রকল্প চালু করেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতি মাসে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন কেটে নেওয়া হচ্ছে। তবে তা সত্ত্বেও যথাযথ মানসম্পন্ন চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের। এ অবস্থায় এক সেমিনারে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এই সেমিনারে বর্তমানে কর্মরত সরকারি কর্মচারী ছাড়াও রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীরাও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় ‘কর্মচারী ও পেনশনভোগী কল্যাণ প্রথম’ শীর্ষক একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই রাজস্থানের ভজনলাল সরকারের ওপর একের পর এক হামলা চালায় রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা। ওই সেমিনারে উপস্থিত সরকারি কর্মীরা অভিযোগ করেন, সরকারের চালু করা সব কল্যাণমূলক প্রকল্প কোনো কাজে আসছে না।
শিক্ষক ইউনিয়ন আয়োজিত এই সেমিনারে সরকারি কর্মীরা বলেন, ‘সরকার শুধু নিজের পকেট ভরছে। শ্রমিকদের কল্যাণে সরকারের কোনো খেয়াল নেই। এটা ঠিক যে সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের নামে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে সে সব পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায়নি। এর জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। ফলে সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীরা লাভবান হচ্ছেন না যাদের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে।’
রাজ্য সরকার চালু করা সরকারি কর্মচারী স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রকল্পগুলির প্রতি অসন্তোষ সেমিনারে বিশেষভাবে স্পষ্ট ছিল। সরকারি কর্মচারীদের মতে, RPMF, RGHS, গ্রুপ অ্যাক্সিডেন্ট ইন্স্যুরেন্সের নামে প্রতি মাসে তাদের বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু যথাসময়ে সঠিক সেবা পাওয়া যায় না।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্তরে কর্মচারী কল্যাণ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। প্রতিটি জেলায় ওই কমিউনের একজন করে নোডাল অফিসার নিয়োগেরও প্রস্তাব করা হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি, ওই আধিকারিক পুরো বিষয়টি নজরদারি করতে পারবেন। আশা করা যায় বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের সেবা সরকারি কর্মচারীদের কাছে পৌঁছাবে।