West Bengal Crime News: ‘চলো, দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিয়ে আসি..’ এরপরই …
West Bengal Crime News: হাওড়ার ডোমজুর থেকে বাঁকুড়ায় নাবালিকা প্রেমিকাকে প্রলুব্ধ করার জন্য প্রেমিক ও তার বাবার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাওড়ার ডোমজুর থেকে বাঁকুড়ায় এক নাবালিকা মেয়েকে প্রলোভন দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে তার প্রেমিক ও তার বাবার বিরুদ্ধে। এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বাঁকুড়ার ছাতনা থানার অন্তর্গত তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধগড়া গ্রামে। নাবালিকার পরিবারের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত প্রেমিক ও তার বাবাকে গ্রেফতার করেছে ছাতনা থানা পুলিশ। মৃত্যুর আসল কারণ জানতে আজ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নাবালকের দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার ছাতনা থানার অন্তর্গত তেঘরি গ্রামের যুবক রাহুল বাউরি হাওড়ার ডোমজুর এলাকার একটি পোশাক কারখানায় প্রিন্টারের কাজ করতেন। ওই যুবক যে কারখানায় কাজ করতেন তার পাশের আরেকটি পোশাক কারখানার মালিকের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই যুবকের। তারা সম্পর্ক মেনে নিলেও মেয়েটি নাবালক হওয়ায় এখুনি দুজনকে বিয়ে করতে নারাজ মেয়েটির পরিবার।
আরো পড়ুন: সদ্যজাত শিশুকে ছিনিয়ে নিল কুকুর! অভিযোগে হতবাক বাঁকুড়া হাসপাতাল
গত ১৫ নভেম্বর দক্ষিণেশ্বরে পূজা দেওয়ার অজুহাতে নাবালিকা ও তার প্রেমিকা ওই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে বের করে নিখোঁজ হয়। নাবালিকার পরিবারের দাবি, বহুদিন পর তাঁরা একে অপরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের দুজনের ফোনই বন্ধ ছিল। পরের দিন নাবালিকা মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে নাবালিকাকে খুঁজতে গেলে রাহুল তাদের ফোন করে জানায় যে তারা বাঁকুড়ার ধাগড়া গ্রামে চলে গেছে।
আরো পড়ুন: Kalyan Banerjee on TMCP resident: কল্যাণ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ত্রিনাঙ্কুরকে তীব্র আক্রমণ করেছেন
কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর নাবালিকা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ছুটে যায় নাবালিকা মেয়ের পরিবার। অভিযোগ, হাসপাতালে পৌঁছে তাঁরা দেখতে পান তাঁদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
বিচারের আশায় গতকাল সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ছুটে চলার পর আজ সকালে নাবালিকা পরিবারের তরফে চাটনা থানায় তার প্রেমিক রাহুল বাউরি ও প্রেমিকের বাবা ধীরেন্দ্রনাথ বাউরির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নাবালকের পরিবারের দাবি, প্রেমিক ও তার বাবা নাবালিকাকে প্রলোভন দিয়ে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলেছে। অভিযোগ পেয়ে চাটনা থানা পুলিশ অভিযুক্ত প্রেমিক ও তার বাবাকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তের ফাঁসি দাবি করেছে নাবালকের পরিবার।