Yunus government on Sheikh Hasina: হাসিনার ফেরা নিয়ে ইউনূস সরকারের হম্বিতম্বি কি শেষ? শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশ সরকার
Yunus government on Sheikh Hasina: হাসিনা ইস্যুতে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সম্প্রতি বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছ থেকে প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিষয়ে একটি নোট মৌখিক পেয়েছি। এই মুহূর্তে আমাদের মন্তব্য করার কিছু নেই।’ এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কী ভাবছে বা বলছে?
ইউনূস সরকার ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া। এই পরিবেশে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে ‘কূটনৈতিক নোট’ পাঠিয়েছে। আবার, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছ থেকে মৌখিক নোট পেয়েছি। প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিষয়ে। এই মুহূর্তে আমাদের এ বিষয়ে মন্তব্য করার কিছু নেই।’
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কী ভাবছে বা বলছে? এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম। গতকাল সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ভারতের চিঠির জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য ২৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি কূটনৈতিক নোট পাঠানো হয়েছিল। তবে ভারত এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র আবে বলেছেন, “কূটনৈতিক নোট হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা এখনও অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে কোনও উত্তর পাইনি।
আমরা এই সময়ে মন্তব্য করব না, তবে উত্তরের জন্য অপেক্ষা করব। সেই জবাবের ভিত্তিতেই ভারত সরকার সিদ্ধান্ত নেবে, সেখানে কোনো সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি, তাই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব . কোনো কিছুর উত্তর দেওয়ার জন্য একটি সাধারণ সময়সীমা রয়েছে, যদি সেই সময়ের মধ্যে অন্য কোনো চিঠি পাঠানো হয় তবে তা এখনই বলা কঠিন হবে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে।
আরো পড়ুন : আগরতলা রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশি
” অন্য কথায়, প্রশাসনিক আমলা ব্যাখ্যা করেছেন যে হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা যতই হট্টগোল করুক না কেন, এই বিষয়ে তাদের সরাসরি কিছু করার নেই।
এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাইজুল ইসলাম সম্প্রতি দাবি করেছেন, জুলাইয়ের বিদ্রোহের সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। এরপর গত ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে চিঠি দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাইজুল ইসলাম।