India on Bangladesh: চট্টগ্রামে হিন্দুদের বাড়িতে বাহিনীর জোরপূর্বক হামলার অভিযোগ, বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের কাছে ভারতের কড়া বার্তা
India on Bangladesh: চট্টগ্রামে হিন্দুদের বাড়িতে বাহিনীর জোরপূর্বক হামলার অভিযোগ, বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের কাছে ভারতের কড়া বার্তা
India on Bangladesh: বাংলাদেশের ইউনূস সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার ভারতের একটি বি
বৃতিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ভারত সে দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।”
সম্প্রতি চট্টগ্রামে ঘরে ঘরে ঢুকে সেনাবাহিনী হিন্দুদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুকে একটি পোস্টকে ঘিরে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এ অবস্থায় নিরাপত্তা কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট-পাথর নিক্ষেপ করা হয় বলে অভিযোগ। উল্টো সংখ্যালঘুদের অভিযোগ, নিরীহ হিন্দুদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এসবের মাঝেই বাংলাদেশের ইউনূস সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার ভারতের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ভারত সে দেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।”
আরো পড়ুন: পার্থ চট্টোপাধ্যায় মামলা, রাজি হয়ে গেল ৩ জন, পার্থ চট্টোধ্যায়ের বিরুদ্ধে সাক্ষী হচ্ছেন!নাম জানলে চমকে উঠবেন
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ইসকনকে নিয়ে ফেসবুকে এক ব্যক্তি বিতর্কিত পোস্ট করেছিলেন বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম পুলিশ। এতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। গত ৫ নভেম্বর ওই ব্যক্তির দোকানে হামলা হয় বলে দাবি করেছে চট্টগ্রাম পুলিশ। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় যৌথ বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এরই মধ্যে ওই ব্যক্তিকে সরিয়ে দেয় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। এতে রাগের মাত্রা বেড়ে যায়। উত্তেজিত জনতা ওই ব্যক্তিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়। এ সময় তাদের ওপর এসিডও নিক্ষেপ করা হয় বলে পুলিশের অভিযোগ।
আরো পড়ুন: খালিস্তানিদের দ্বারা কানাডা হিন্দু মন্দিরে হামলা: কানাডিয়ান মন্দিরে খালিস্তানি হামলাকারীদের মধ্যে একজন কানাডা পুলিশ অফিসার ছিলেন
এই আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নাকি যৌথ বাহিনী ফাঁকা কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এই সংঘর্ষে মোট ৭ জন পুলিশকর্মী জখম হন বলে দাবি করা হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে অনেককে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার এবং সলিসিটর নিঝুম মজুমদার অভিযোগ করেন, ‘চট্টগ্রামের হাজারি গলিতে ঘরে-ঘরে ঢুকে সেনাবাহিনী হিন্দু ধর্মালম্বীদের হেনস্থা করছে, গ্রেফতার করছে।
সেখানে ত্রাসের রাজত্ব বিরাজদ করছে।’ ঘটনাপ্রবাহ প্রসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘সেনাবাহিনী কি গণহত্যা শুরু করেছে?’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে। পড়শি দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সাম্প্রতিককালে। পূর্ববর্তী সরকারের পতনের পর শুরু হওয়া দাঙ্গায় অনেক হিন্দুদের দোকানপাট, বাড়িঘর এবং মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছিল। আওয়ামি লিগের দুই হিন্দু নেতা সহ বহু হিন্দুদের খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এছাড়াও হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তকরণের অভিযোগও ওঠে। উচ্চপদস্থ হিন্দু আমলা এবং পুলিশদের জোর করে পদত্যাগ করানো হয়। বহু হিন্দু শিক্ষককেও জোর করে পদত্যাগ করানো হয়। দুর্গাপুজোর সময় জায়গায় জায়গায় প্রতিমা ভাঙার ঘটনা ঘটেছিল বলেও অভিযোগ উঠেছিল। এরই মাঝে নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের অনেক জায়গাতেই হিন্দুরা বিশাল মিছিল ও জমায়েত করে।