Junior Doctor: ডাক্তারি পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনশন তুলতে বলে কোথাও ‘অনুরোধ’, কোথাও ‘চাপ’ পুলিশের

Junior Doctor: ডাক্তারি পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনশন তুলতে বলে কোথাও ‘অনুরোধ’, কোথাও ‘চাপ’ পুলিশের

Junior Doctor: গুরুতর অসুস্থ ঝাড়গ্রামের শিলদার ছেলে অনিকেত মাহাতো অনশনে। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। অনিকেতের বাবা অপূর্ব কুমার মাহাতো, একজন অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী এবং মা তারারানী মাহাতো তাই চিন্তিত৷

আপনার ছেলেমেয়েরা কলকাতার ধর্মতলায় অনশন করছে। তাদের বোঝান! সূত্রের খবর, বাঁকুড়া শহরের শিলদার অনিকেত মাহাতোর স্নিগ্ধা হাজরার পরিবারকে এমনই ‘অনুরোধ’ জানানো হয়েছে। একই ভাবে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অনশনরত চিকিৎসকের বাড়িতে এমন ‘চাপ’ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

Junior Doctor: ডাক্তারি পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনশন তুলতে বলে কোথাও ‘অনুরোধ’, কোথাও ‘চাপ’ পুলিশের
Junior Doctor: ডাক্তারি পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনশন তুলতে বলে কোথাও ‘অনুরোধ’, কোথাও ‘চাপ’ পুলিশের

গুরুতর অসুস্থ ঝাড়গ্রামের শিলদার ছেলে অনিকেত মাহাতো অনশনে। হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। অনিকেতের বাবা অপূর্ব কুমার মাহাতো, একজন অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী এবং মা তারারানী মাহাতো তাই চিন্তিত৷ শুক্রবার অনিকেতের বাবা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বিনপুর থানার পুলিশ এসে ছেলেকে ডেকে বুঝিয়ে বলতে বলে।

আরো পড়ুন: রতন টাটা উত্তরসূরি: কে হবেন রতন টাটার উত্তরসূরি…? নোয়েল টাটা নাকি অন্য কেউ? সম্ভাব্য ‘নাম’ চমকে দেবে!

তাদের ছেলের সঙ্গে কথা বলার জন্য কলকাতা যাওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। মাহাতো দম্পতি তাদের ছেলের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ না করার জন্য পুলিশকে জানিয়েছেন। অপূর্ব বলেন, “ওখানে সিনিয়র ডাক্তাররা আছেন। তারা দেখছে।” তারারানী বলেন, “আমি আমার ছেলের অসুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। তবে আমার ছেলের বিচারের দাবিতে আন্দোলনে আমার পূর্ণ আস্থা আছে।”

Junior Doctor: ডাক্তারি পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনশন তুলতে বলে কোথাও ‘অনুরোধ’, কোথাও ‘চাপ’ পুলিশের
Junior Doctor: ডাক্তারি পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনশন তুলতে বলে কোথাও ‘অনুরোধ’, কোথাও ‘চাপ’ পুলিশের

বাঁকুড়ার শুভঙ্কর সরণির বাসিন্দা কলকাতা মেডিকেলের জুনিয়র ডাক্তার স্নিগ্ধা হাজরাও ধর্মতলায় অনশন করছেন। তাঁর বাবা প্রাক্তন রেলকর্মী কাজল হাজরার দাবি, “বৃহস্পতিবার বেলা ১টা নাগাদ পুলিশ বাঁকুড়ার বাড়িতে কথা বলতে আসে। ওদের সকালে আসতে বল।” সকালে বাড়ি থেকে বের হন হাজরা দম্পতি।

আরো পড়ুন:  রাজনীতি ছেড়ে দেব!’ গভীর রাতে তৃণমূল বিধায়কের আচমকা হুঁশিয়ারি, জোর জল্পনা

যদিও বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারির দাবি, “মাঝরাতে আমরা খবর পেয়েছিলাম যে তাদের মেয়ের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তাই সময় নষ্ট না করে তাদের জানানো জরুরি ছিল এবং সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি চলে যান। এমনকি কেউ কথাও বলেনি। তাদের পক্ষে পুলিশের কাছে।” স্নিগ্ধার বাবা-মা কাজল ও চঞ্চলার পাল্টা প্রশ্ন, “ওই বলেছে পুলিশ সকাল ১টায় বাসায় আসবে!

এই ঘটনায় আমরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।” কয়েক মাস আগে কলকাতা মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদারের সঙ্গে স্নিগ্ধের বিয়ে হয়, হাজরা দম্পতি বলেন, মেয়ের সঙ্গে জামাই ও অন্যান্য চিকিৎসক বন্ধুরা আছেন, এটাই আমাদের বড় আশা।

আরো পড়ুন: মদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রশান্ত কিশোর: ‘সরকার গঠনের এক ঘণ্টার মধ্যেই মদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেব!’

উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে অনশন করছেন দুই জুনিয়র চিকিৎসকও। তাদের মধ্যে মনোরোগ বিভাগের স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণার্থী (পিজিটি) অলোক কুমার ভার্মা অভিযোগ করেছেন যে পুলিশ উত্তরপ্রদেশের লখনউতে তার বাড়িতে গিয়ে তার মাকে বলেছিল, ‘আপনার ছেলের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। কথা বলতে পারে না।’ অলোককুমারের কথায়, “মা ডাকছেন। মনে হচ্ছে পুলিশ চাপ প্রয়োগ করে অনশন প্রত্যাহার করার চেষ্টা করছে।

তবে প্রশাসনের কেউ অনশনে কথা বলতে আসছেন না।” আরেক অনশনকারী সৌভিক ব্যানার্জি দাবি করেছেন যে পুলিশ তার বাঁকুড়া বাড়িতে ডেকেছে এবং তাকে একই কথা বলেছে, তবে বাঁকুড়া পুলিশ এমন দাবি মানেনি।

আরো পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের বায়ো টয়লেট তুলে নেওয়া হয়েছে, এদিকে পুলিশের বায়ো টয়লেট রয়েছে’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *