RG Kar case: কে ফাঁসাল? কেন? আরজি কর-কাণ্ডে ধৃতের দাবি শুনে আবার তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের
RG Kar case: কে ফাঁসাল? কেন? আরজি কর-কাণ্ডে ধৃতের দাবি শুনে আবার তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন জুনিয়র ডাক্তারদের
RG Kar case: সোমবার দুপুর ২টার দিকে ধর্ষণ ও হত্যার একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার সিভিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই মামলার শুনানি শুরু হচ্ছে ১১ নভেম্বর থেকে। প্রতিদিন শুনানি চলবে।
আরজি করে চিকিৎসককে খুন ধর্ষণের মামলায় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে পেশ করা হয়েছিল শিয়ালদহ আদালতে। সোমবার কোর্ট থেকে তাঁকে বার করার সময়ে প্রিজ়ন ভ্যান থেকে ধৃত দাবি করেছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর ওই মন্তব্য নিয়ে এ বার আসরে নামল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দ ভিডিয়ো বার্তায় প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কে তাঁকে ফাঁসাল? কেন ফাঁসাল? এর উদ্দেশ্য কী?’’ এই প্রশ্নে সিবিআইয়েরই পুরো বিষয়টি খোলসা করা উচিত বলেও দাবি করেছেন কিঞ্জল। ফের এক বার সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কিঞ্জল।
জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের অন্যতম ‘মুখ’ কিঞ্জল বলেন, “প্রায় তিন মাস লেগেছে। এই ঘটনায় একজন ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমরা সবাই জানি, যে নরকীয় ঘটনা ঘটেছে তা হতে পারে না। কোন এক ব্যক্তির দ্বারা করা হয়েছে, তাহলে কেন এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে না?” আরজি ট্যাক্স মামলায় সিবিআই যে প্রাথমিক চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি ছিলেন? হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত।
আরো পড়ুন: নৌকায় প্রতিমা বিসর্জনের পর সব শেষ, মণ্ডল বাড়িতে এখন শুধু কান্না! বাড়ির ছেলে আর ফিরবে না
সোমবার বন্দীকে আদালত থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ায় তিনি প্রিজন ভ্যান থেকে চিৎকার করতে থাকেন। তিনি বলেন, “আসল মানুষকে বাঁচাতে আমাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। আমি বিচারককে বলছি, স্যার, আমি কিছু করিনি। আমাকে উপর থেকে নিচে নিয়ে এসেছেন। এটা কি ন্যায়সঙ্গত? ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী?” তিনি আরও বলেন, এতদিন চুপ করে ছিলাম। তবে আমি ধর্ষণ ও খুন করিনি।
আরো পড়ুন: Amazing Fact: মিথ্যা বললে শরীরের কোন অংশ গরম হয় বলুন..! মিথ্যাবাদী কে?
আমার কথা শুনছে না সরকার প্রতারণা করছে। এতক্ষণ চুপ করে ছিলাম।” সোমবার দুপুর ২টার দিকে ধর্ষণ ও হত্যার একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার সিভিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ঘটনার ৮৭ দিন পর এবং সিবিআইয়ের চার্জশিট পেশের ২৮ দিন পর মামলার চার্জশিট শেষ হয়। এর পরই শুনানি শুরু হবে। সেই মামলার শুনানি শুরু হচ্ছে ১১ নভেম্বর থেকে। প্রতিদিন শুনানি চলবে।
গত শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, ফরেনসিক ল্যাবে নমুনা পাঠাতে সময় পিছিয়ে, জুনিয়র ডাক্তাররা প্রশ্ন তোলেন কেন সিবিআই এই বিষয়গুলি স্পষ্ট করছে না। সোমবার সঞ্জয়ের মন্তব্যের পর সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তোলেন কিঞ্জল।