Rinku Singh: ‘বাজি, মিষ্টি কিনে এনেছিলাম’! বিশ্বকাপে নেই ছেলে, শোকে ভেঙে পড়েছেন বাবা-মা

Rinku Singh: ‘বাজি, মিষ্টি কিনে এনেছিলাম’! বিশ্বকাপে নেই ছেলে, শোকে ভেঙে পড়েছেন বাবা-মা

রিংকু সিংয়ের পরিবারে আজ শোকের মাতম। তারা ভাবতেও পারেনি প্রথম ১৫ জনের মধ্যে রিংকুর জায়গা হবে না।

ভারতীয় ক্রিকেট সম্প্রদায়ের অনেকেই নিশ্চিত ছিলেন যে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড) দলে রিঙ্কু সিংয়ের টিকিট নিশ্চিত হয়েছে। দল তার সঙ্গে থাকবে। মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় দলের নির্বাচকরা যখন বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেন, তখন অনেকেই হতবাক হয়ে যান। দলে জায়গা হয়নি ১৫ সদস্যের!

Rinku Singh

Agarkar on not picking Rinku for T20 WC

দেশের জার্সিতে 15 টি-টোয়েন্টি ম্যাচে 176.23 স্ট্রাইক রেটে 356 রান সহ রিংকু গড়ে 89.00! এহেন রিংকু রিজার্ভে আছেন। মূল দলে এসেছেন সিএসকে তারকা শিবম দুবে। তার বাবা খানচন্দ্র সিং ভাবতে পারেননি যে রিংকু প্রথম পনেরো হবে না। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ইতিমধ্যেই তারা বাড়িতে উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। কিন্তু দল ঘোষণার পর শোকে ভেঙে পড়েন তারা।

আরোও পড়ুন : তার কোনো দোষ নেই’, রিংকুকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে না রাখার আসল কারণ জানালেন রোহিত

এক সাক্ষাৎকারে খানচন্দ্র সিং বলেছেন, ‘আমাদের অনেক প্রত্যাশা ছিল যে রিংকু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাবে। আপনি জানেন, আমি বাজি এবং মিষ্টি কিনে বাড়িতে রেখেছিলাম। আমি ভেবেছিলাম সে শুরুর একাদশে থাকবে। আমাদের সহ রিংকুর মন ভেঙ্গে গেছে। তিনি তার মাকেও ডেকে বলেছিলেন যে তাকে এগারো বা পনেরো পর্যন্ত রাখা হয়নি। তবে তার মনে কী চলছে তাও তিনি বলেছেন।’ কেকেআর-এর অফিসিয়াল ইউটিউব পেজে রিঙ্কুর একটি সাক্ষাৎকার রয়েছে। সেখানে তিনি বলেন, এক সময় চোটের কারণে খেলতে পারতেন না। দেখে তার বাবা ২-৩ দিন কিছু খায়নি। সেই সময় রিংকুই ছিল বাড়ির একমাত্র উপার্জনকারী। পরিবারের ভরণপোষণের জন্য রিংকুর বাবা একবার ঘরে ঘরে এলপিজি সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়েছিলেন।

Rinku Singh

Agarkar on not picking Rinku for T20 WC

সাম্প্রতিক ভারতীয় ক্রিকেটে রিংকু খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের নাম পরিচিত করেছেন। সাদা বলের ক্রিকেটে পাঁচ ও ছয় নম্বরে নিজেকে ভবিষ্যতের তারকা হিসেবে প্রমাণ করেছেন কেকেআরের নায়ক। তাকে আসল ‘ফিনিশার’ হিসেবে ভাবা হয়। রিংকু আইপিএল 2023 এর 14 ম্যাচে 474 রান করেছিলেন। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে 33 বলে সর্বোচ্চ 67 রান করেছিলেন অপরাজিত। গড় 59.25। স্ট্রাইক রেট 149.53। চারটি অর্ধশতক ছিল। এরপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি রিংকুরকে। সে শুধু এগিয়ে গেল। তবে রিঙ্ক ছাড়া বিশ্বকাপ কল্পনা করতে পারেন না অনেকেই।

আরোও পড়ুন :  ICC-র নিয়মে যে কত বড় ফাঁক আছে, চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল IPL-র DRS! হতে পারত বিতর্ক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *