Weight Gain Diet: ওজন বাড়ানোর ডায়েট প্ল্যান: আপনি কি খুব রোগা? দ্রুত ওজন বাড়াতে সকালের নাস্তায় খান এই ৬টি সহজ খাবার
Weight Gain Diet: ওজন বাড়ানোর ডায়েট প্ল্যান: আপনি কি খুব রোগা? দ্রুত ওজন বাড়াতে সকালের নাস্তায় খান এই ৬টি সহজ খাবার
Weight Gain Diet: ওজন বাড়ার অর্থ এই নয় যে আপনি তৈলাক্ত এবং মশলাদার খাবার খাওয়া শুরু করবেন। এগুলো হয়তো মোটা করে তুলবে পাশাপাশি রোগের বাসা তৈরি হয়ে যাবে। আপনি যদি স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াতে চান তবে এই খাবার খেয়েই ওজন বাড়াতে পারেন।
সব জায়গায় ওজন কমানো নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়। কিন্তু ওজন কী ভাবে বাড়ানো যায় এই বিষয়ে আমরা তেমন একটা একটা গুরুত্ব দিই না। এর কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে, আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ স্থূলতার শিকার। তবে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ওজন হ্রাসের সমস্যায় ভোগেন। অথচ তাদের নিয়ে তেমন কারোর মাথাব্যথা নেই। ওজন বাড়লে যেমন হাসির খোরাক হয়ে যায় তেমনই ওজন কম হলে নানান লজ্জাকর মন্তব্য শুনতে হয়।
কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যাঁরা ওজন বাড়ানোর জন্য সমস্ত চেষ্টা করেও তেমন করে সফল হন না। মনে রাখবেন, আমাদের শরীরের ওজন বডি মাস ইনডেক্স (BMI) দ্বারা পরিমাপ করা হয়। যখন কারোর ওজন, তার বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী 15 থেকে 20 শতাংশ কম থাকে, অথবা তার বিএমআই (BMI) 185 এর কম হয়, তখন সেই ব্যক্তিকে আন্ডারওয়েট বা তার ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম ধরা হয় বলেই বিবেচনা করেন ডাক্তারবাবুরা৷ কম ওজন মানেই কিন্তু শরীরের কার্যক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা৷ ফলস্বরুপ অ্যানিমিয়া শিকার হতে পারেন এমনকি মহিলাদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের সমস্যাও দেখা দিতে পারে৷ এই প্রতিবেদনে রইল তেমনই কিছু সস্তার খাবার যা খেলে সুস্থতার পাশাপাশি ওজনও বেড়ে যাবে।
প্রোটিন স্মুদি খান
বাড়ির তৈরি প্রোটিন স্মুদি পান করলে ওজন বাড়ানো যাবে স্বাস্থ্যকর উপায়। আপনি যদি বাইরের স্মুদি খান তাহলে তাতে চিনি পরিমাণ থাকে বেশি। প্রোটিন স্মুদি তৈরি করতে হলে আপনি 2 কাপ দুধ বা সয়া দুধ নিয়ে স্মুদি তৈরি করতে পারেন। এর মধ্যে আপনি চকোলেট এবং বাদাম শেক করতে পারেন। 1টা কলা, 1 স্কুপ চকোলেট প্রোটিন এবং 1 চামচ চিনাবাদাম বা অন্যান্য বাদাম সঙ্গে মাখন দিয়ে তৈরি করুন।
দুধ
ওজন বাড়াতে বা পেশী শক্তিশালী করতে কয়েক দশক ধরে দুধ ব্যবহার হয়ে। এর মধ্যে প্রোটিন, কার্বস এবং ফ্যাটের ভারসাম্য রয়েছে এবং ক্যালশিয়ামের ভালো উৎস। দুধের মধ্যে ভিটামিন এবং খনিজ পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারে ওজন বাড়িয়ে তোলা যায় সহজেই। আপনি দুধের সঙ্গে বাদামের মতো শুকনো ফল মিশিয়েও খেতে পারেন।
বাদাম বা চিনাবাদাম মাখন
ওজন বাড়াতে চাইলে বাদাম বা পিনাট বাটার খেতে পারেন। একটি সমীক্ষা অনুসারে, মাত্র এক মুঠো কাঁচা বাদাম (1/4 কাপ) 170 ক্যালোরি, 6 গ্রাম প্রোটিন, 4 গ্রাম ফাইবার এবং 15 গ্রাম স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় দুই মুঠো বাদাম খেতে হবে। সকালের নাস্তায় মাখন যোগ করতে পারেন।
আলু এবং স্টার্চি পদার্থ
আলু এবং অন্যান্য স্টার্চি পদার্থ শরীরে ক্যালরির ঘাটতি পূরণ করে। আপনি আপনার সকালের নাস্তায় ওটস, ভুট্টা, শস্য, আলু, মিষ্টি আলু এবং মটরশুটির মতো খাবার খেতে পারেন। আলু এবং অন্যান্য স্টার্চি খাবার আপনাকে ওজন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এই জিনিসগুলিতে অন্যান্য পুষ্টি পাওয়া যায়, যা আপনার অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্ট করতে সাহায্য করতে পারে।
শুকনো ফল
কিশমিশ, আখরোট এবং ডুমুরের মতো শুকনো ফল ক্যালোরির ভালো উৎস এবং এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে। এগুলিতে উচ্চ পরিমাণে চিনি রয়েছে যা বিশেষজ্ঞদের মতে ওজন বাড়ানোর জন্য খুব ভাল। এ ছাড়া শুকনো ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং বেশিরভাগ ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। সকালের নাস্তায় এগুলো খেতে পারেন।
কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার
কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন রুটি ওজন বাড়ানোর জন্য ভালো বিকল্প। আপনি ডিম, মাংস এবং রুটির মতো অন্যান্য প্রোটিন আইটেমের সাথে পনির খেতে পারেন। আপনি স্যান্ডউইচ তৈরি করতে পারেন এবং মাংস, পনির, শাকসবজি, বাদাম মাখন এবং অ্যাভোকাডো যোগ করতে পারেন।
দাবিত্যাগ: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।